ঈদে বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু, ট্রেনের আজ থেকে

14

 

কাজির বাজার ডেস্ক

আসন্ন ঈদুল আযহাকে কেন্দ্র করে বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার বাসের টিকিট বিক্রি শুরু করে বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের আওয়ার চলা কম্পানিগুলো। প্রথম দিন যাত্রীদের মধ্যে আগামী ২৭ জুনের টিকিটের চাহিদা ছিল সব চেয়ে বেশি। অগ্রিম টিকিট বিক্রির বিষয়ে সংগঠনটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শুভঙ্কর ঘোষ রাকেশ বলেন, আমাদের সব বাস কম্পানিগুলো আজ থেকে একযোগে ঈদের অগ্রিম টিকিট দেওয়া শুরু করেছে। সকাল থেকেই সংশ্লিষ্ট বাসের কাউন্টার থেকে টিকিট পাচ্ছেন যাত্রীরা। তবে একইসঙ্গে অনলাইনেও বাসের অগ্রিম টিকিট পাওয়া যাচ্ছে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৯ জুন পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপিত হতে পারে। ঈদের সরকারি ছুটি শুরু হবে এর আগের দিন থেকে। তাই ২৭ এবং ২৮ জুনের বাসের টিকিটের চাহিদা সবচেয়ে বেশি বলছেন সংশ্লিষ্টরা। জানতে চাইলে হানিফ এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, টিকিট বিক্রির প্রথম দিন সবাই ২৭ তারিখের টিকিট চায়। ওই দিনের প্রায় সব টিকিট শেষ। অন্য দিনের চাহিদা এখনও কম।
গাড়ি শিডিউল মোতাবেক যাবে। তাই চাহিদা বেশি থাকলেও ওইদিনের জন্য গাড়ি বাড়ানোর সুযোগ নেই।
মোশাররফ হোসেন বলেন, স্বাভাবিকভাবে যে পরিমাণ গাড়ি চলে ঈদেও তাই চলবে। তবে যানজট না থাকলে শুধু ২৭ তারিখ দুই একটা গাড়ি বাড়ানো যেতে পারে। ২৫ তারিখ থেকে যদি সড়কে জরুরি পণ্যবাহী ছাড়া অন্যান্য ট্রাক চলাচল বন্ধ করা যায় তাহলে ভালো হয়।
এদিকে আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে আজ বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি। গত ঈদের মতো এবারো সব আসনের টিকিট শুধু অনলাইনে বিক্রি করা হবে। তবে বিক্রিত টিকিট এবার ফেরত নেওয়া হবে না। এবার দুই ধাপে বিক্রি হবে ট্রেনের টিকিট। পশ্চিমাঞ্চলের সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট সকাল ৮টা থেকে আর পূর্বাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট দুপুর ১২টা থেকে বিক্রি শুরু হবে। রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, ১৪ জুন পাওয়া যাবে ২৪ জুনের টিকিট। একইভাবে ১৫ জুন দেওয়া হবে ২৫ জুনের টিকিট, ১৬ জুন ২৬ জুনের টিকিট, ১৭ জুন ২৭ জুনের টিকিট এবং ১৮ জুন ২৮ জুনের টিকিট পাওয়া যাবে। ঈদ পরবর্তী ফিরতি অগ্রিম টিকিট দেওয়া শুরু হবে ২২ জুন। সেই হিসেবে ২২ জুন দেওয়া হতে পারে ২ জুলাইয়ের টিকিট। যথাক্রমে ২৩ জুন ৩ জুলাইয়ের, ২৪ জুন ৪ জুলাইয়ের, ২৫ জুন ৫ জুলাইয়ের ও ২৬ জুন ৬ জুলাইয়ের টিকিট পাওয়া যেতে পারে।
৮ জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানোর প্রস্তাব : রেলওয়ের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২৬ জুন থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত এবং ঈদের পরদিন থেকে পাঁচ দিন চাঁদপুর-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ রুটে তিন জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানো হবে। এক জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানো হবে ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম রুটে। ভৈরব ও ময়মনসিংহ থেকে দুই জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানো হবে শুধু ঈদের দিন শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে যাওয়ার জন্য। এ ছাড়া আরও দুই জোড়া বিশেষ ট্রেন ঈদের আগে ও পরে ছয় দিন ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থেকে পঞ্চগড় ও লালমনিরহাট রুটে চলবে।
শুধু ৪ কাউন্টারে স্ট্যান্ডিং টিকিট : ঢাকা থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে প্রতিদিন ৩২ হাজার আসনে যাত্রী পরিবহন করা হবে। মোট আসনের ২৫ শতাংশ স্ট্যান্ডিং টিকিট যাত্রীদের কাছে বিক্রি করা হবে। স্ট্যান্ডিং টিকিট পাওয়া যাবে শুধু ঢাকার কমলাপুর, ক্যান্টনমেন্ট ও বিমানবন্দর ও গাজীপুরের জয়দেবপুর স্টেশন থেকে। মাঝপথে বিরতি নেয় এমন কোনো স্টেশনে স্ট্যান্ডিং টিকিট পাওয়া যাবে না।
যুক্ত হবে অতিরিক্ত বগি-ইঞ্জিন : রেলের অবহিতকরণ সভায় ওঠা প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ঈদযাত্রায় ৬৫টি অতিরিক্ত বগি যুক্ত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে পাহাড়তলী ওয়ার্কশপ থেকে ৪০টি মিটারগেজ ও সৈয়দপুর ওয়ার্কশপ থেকে ২৫টি ব্রডগেজ বগি আনা হবে। এ ছাড়া ঈদকে কেন্দ্র করে পূর্বাঞ্চলে ১১৬টি এবং পশ্চিমাঞ্চলে ১০২টি মিলিয়ে মোট ২১৮ অতিরিক্ত ইঞ্জিন যুক্ত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।