মসলার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

5

 

সম্প্রতি মসলার বাজারে এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে। দেশের বাজারে পেঁয়াজ, রসুন, আদা, গোলমরিচ, জিরা, লবঙ্গ, দারুচিনিসহ সব মসলাজাতীয় দ্রব্যের মূল্য লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এসব নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে কোনোভাবেই যেন লাগাম দেওয়া যাচ্ছে না। বাজারে মসলা ও মসলাজাতীয় পণ্যের তেমন কোনো সংকট না থাকলেও পবিত্র ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে এক ধরনের অসাধু মুনাফালোভী ব্যবসায়ী ও সিন্ডিকেটধারী মসলাজাত দ্রব্যের অবৈধ মজুত করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে। ব্যবসায়ীরা একদিকে রপ্তানিকারক দেশগুলোর মসলা উৎপাদনের হ্রাস ও অন্যদিকে ডলার সংকটে এলসি ঋণপত্র খোলার অজুহাত দিচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষের ক্রয়-ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে মসলাজাত দ্রব্যমূল্য। রাজধানীর বাজারগুলোতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৮০ থেকে ১০০ টাকা, আদা ৫০০ টাকা, জিরা ৮০০ থেকে ৮৮০ টাকা, লবঙ্গ ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকা, ধনিয়া ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, রসুন ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ঈদকে কেন্দ্র করে মসলার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে দুই থেকে তিনগুণ।
বাংলাদেশে মসলাজাত দ্রব্য মূলত চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, মিয়ানমার ও থাইল্যান্ড থেকে আমদানি করা হয়। আর এসব পণ্যের অধিকাংশই চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজে করে আনা হয়। পত্রপত্রিকার তথ্যানুযায়ী দেশে মসলার বাজার গুটি কয়েক আমদানিকারক নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। দেশে উৎপাদিত বা আমদানিকৃত মসলা ও মসলাজাত দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি ঠেকাতে সিন্ডিকেটকারীদেরও অবৈধ মজুতদারি ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে সরকারের সুদৃষ্টি প্রয়োজন।