নৌকা পেয়ে নগরবাসীর সহযোগীতা চাইলেন আনোয়ারুজ্জামান

10

স্টাফ রিপোর্টার

দলীয়ভাবে মেয়র প্রার্থীর চ‚ড়ান্ত মনোনয়ন পাওয়ায় পর আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর সমর্থনে সিলেট নগরীতে আনন্দ মিছিল করে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, তাঁতীলীগ, ছাত্রলীগ ছাড়াও অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এছাড়াও আনন্দ মিছিলে অংশ নেন অসংখ্য সাধারণ জনতা। গতকাল শনিবার বিকেলে সিলেটের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার থেকে মিছিল শুরু হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ঐতিহাসিক কোর্ট পয়েন্টে গিয়ে শেষ হয়। এসময় সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, ছাত্রলীগ, তাঁতী লীগের বিপুর সংখ্যক নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন। মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেছেন, সিলেট সিটি করপোরেশনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে মনোনীত করায় দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামীলীগের মনোনয়ন বোর্ডের সবাইকে সিলেটবাসীর পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা ধন্যবাদ জানান। এর আগে, সিলেট মহানগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে খন্ড খন্ড মিছিল এসে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও কোর্ট পয়েন্টে জড়ো হয়। এ সময় পুরো নগরী মিছিলের নগরীতে রূপ নেয়। জয়বাংলা, শেখ হাসিনা, নৌকা ও আনোরুজ্জামান চৌধুরী সেøাগানে মুখর হয়ে উঠে পুরো নগরী।
সিলেটে নৌকার মাঝি হয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন- প্রথমত আমি অত্যন্ত খুশি ও আনন্দিত যে- দল আমার উপর ভরসা রেখে আমাকে সিলেটে নৌকার মেয়র প্রার্থী করেছে। এ জন্য দলীয় সভানেত্রী জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। তিনি বলেন, এবার আমি আমার সিলেটের দলীয় নেতাকর্মীদের সহযোগিতা চাচ্ছি। সিলেটের যারা কেন্দ্রীয় কমিটিতে আছেন তাদের নির্দেশনা ও পরামর্শে এবং সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী অঙ্গ-সংগঠনের সকল নেতাকর্মীদের সহযোগিতা নিয়ে আমি সামনে এগিয়ে যেতে চাই এবং সবার উচিৎ এখন সিসিক নির্বাচনে নৌকার জয় নিশ্চিত করা।
এছাড়াও গতকাল শনিবার বিকেলে আনোয়ারুজ্জামান নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তাঁর আইডিতে লেখেন- ‘আলহামদুলিল্লাহ…..
আমাকে আগামী সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আমাদের প্রাণের সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মেয়র প্রার্থী মনোনীত করেছেন। আমি মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীনের দরবারে শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি।
বাংলাদেশের সফল প্রধানমন্ত্রী ১৮ কোটি মানুষের অভিভাবক বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা এমপি কে গভীর কৃতজ্ঞতা ও অন্তরের অন্তস্থল থেকে ধন্যবাদ জানাই তিনি আমাকে এই বিশাল দায়িত্বের জন্যে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছেন। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনয়ন বোর্ডের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। আমার রাজনৈতিক সহকর্মী, সহযোদ্ধা সহ সিলেটের সর্বস্তরের নেতা কর্মীদের ধন্যবাদ, কৃতজ্ঞতা ও অভিবাদন জানাই। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সম্মানিত নাগরিকবৃন্দদের প্রতি আমি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, আপনারা আপনাদের সন্তান হিসেবে আমাকে যে ভালবাসা ও সমর্থন দিয়েছেন তাতে আমি আপনাদের কাছে চির ঋণী। আমি বিশ্বাস করি আপনাদের এই অকুণ্ঠ সমর্থন অব্যাহত থাকবে এবং আগামী ২১ শে জুনের সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আপনারা নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করে জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশের প্রথম স্মার্ট নগরী হিসেবে সিলেট সিটি কর্পোরেশনকে গড়ে তুলতে সর্বাত্মক সহযোগীতা করবেন।
উল্লেখ্য, সিসিক নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে মেয়র প্রার্থী হতে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ছাড়াও দলীয় মনোনয়ন কিনেছিলেন আরো ১০ জন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আসাদ উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মহানগর ইউনিট শাখা সিলেটের ডেপুটি কমান্ডার ও সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এবং ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্মসম্পাদক ও সিসিক কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ, যুগ্মসম্পাদক এটিএমএ হাসান জেবুল, সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের ছেলে ডা. আরমান আহমদ শিপলু, মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা প্রিন্স সদরুজ্জামান চৌধুরী ও ব্যবসায়ী-ক্রীড়া সংগঠক মাহিউদ্দিন আহমদ সেলিম এবং মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাউন্সিলর সালেহ আহমদ সেলিম। আগামী ২১ জুন সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইভিএমে একটানা ভোটগ্রহণ চলবে। নির্বাচনে প্রার্থী হতে ইচ্ছুকদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৩ মে। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ২৫ মে। আর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ১ জুন।