নগরীতে কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতার বিরুদ্ধে পুলিশের জিরো টলারেন্স

2

স্টাফ রিপোর্টার

৭ এপ্রিল রাতে নগরীর রিকাবীবাজার পয়েন্টে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যের হাতে ছুরিকাঘাতে আহত হন দুই কিশোর। ২৯ মার্চ চারাদিঘীরপাড়ে স্কুল পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে জখম করে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। ৩১ মার্চ রাতে কোম্পানীগঞ্জে কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে যুবক আহত হন। এ ঘটনায় একজনকে আটক করে পুলিশ। এছাড়া, ২৭ মার্চ চুনারুঘাটে স্বপন মিয়া নামে ১০ বছরের শিশুকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করে কিশোর গ্যাং সদস্যরা। এ ঘটনায় কিশোর গ্যাংয়ের এক সদস্য আটক হয়েছে বলে সূত্র এমন তথ্য জানিয়েছে।
ওই ঘটনায় জড়িত অনেক কিশোরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরে তারা স্বীকার করে সিনিয়র-জুনিয়র দ্ব›দ্ব, সিগারেট খাওয়া, প্রভাব বিস্তারের জেরে হরহামেশা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, মারধর, সশস্ত্র হামলা, এমনকি খুন করতেও দ্বিধা করছেন না তারা। কিশোর গ্যাং সদস্যদের অপতৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়ায় নগরীর নতুন কিশোর গ্যাং সদস্যদের তালিকা করছে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি)। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বিষয়টি তাদের নজরদারিতে রয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় পুলিশী টহলও বাড়ানো হয়েছে।
এসএমপি’র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) সুদীপ দাস গণমাধ্যমকে জানান, এসএমপি’র কমিশনার হিসেবে ইলিয়াছ শরীফ যোগদান করেই এ ব্যাপারে নির্দেশনা দিয়েছেন। এর আলোকে নতুন করে কিশোর গ্যাংয়ের তালিকা করছেন বিভিন্ন বিটের দায়িত্বপ্রাপ্তরা। পাশাপাশি এ বিষয়ে ডিবি পুলিশকেও কাজে লাগানো হয়েছে। কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতার বিরুদ্ধে পুলিশ জিরো টলারেন্স বলেও জানান তিনি।
কিশোর গ্যাং সদস্যদের কেউ স্কুলের গন্ডি পেরিয়েছে। কেউ চালাচ্ছে টমটম অটোরিক্সা আবার কারো বাবার আছে অর্থ সম্পদ। টাকা হাতে থাকায় তারা গ্রæপ তৈরি করে দাপট দেখান। বিভিন্ন বিদ্যালয়ের সামনে অবস্থান করে ছাত্রীদের উত্যক্ত করা, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, মাদক সেবন, ছিনতাই, তীর জুয়া, মারামারি এসব কাজ এখন কিশোর গ্যায়ের মূল নেশা।
অভিযোগ উঠেছে, রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় উঠতি বয়সের কিশোরেরা সহিংসতাসহ নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে। বিভিন্ন সময় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা আইনের আওতায় এলেও আড়ালেই থেকে যান তাদের নেতৃত্ব দানকারীরা।
সূত্র জানায়, গত বছর এসএমপি’র ৬টি থানা এলাকায় বেপরোয়া এই কিশোর গ্যাংয়ের অপতৎপরতা থামাতে একটি তালিকা তৈরী করা হয়। এ তালিকায় ২২০ জন তরুণের নাম ছিল। তাদের বেশিরভাগেরই বয়স ১৮ বছরের নিচে। এবার ফের নতুন তালিকা করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি অফিসের পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা গণমাধ্যমকে জানান, রেঞ্জ পুলিশও বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছে। ইতোমধ্যে সকল থানার অফিসার ইনচার্জদের এ বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।