তথ্য অধিকার আইন ॥ সেবাপ্রাপ্তিতে এগিয়ে সাধারণ মানুষ, দুর্নীতিতে লাগাম

13

কাজিরবাজার ডেস্ক :
অবাধ তথ্য প্রবাহ নিশ্চিতে তথ্য অধিকার আইন প্রণয়ন করেছে সরকার। এই আইন প্রয়োগে আড়ালে থাকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পারছেন নাগরিকরা। সেবা নেওয়ায় এগিয়ে আছেন সাধারণ মানুষ। এরপর সাংবাদিক। বেশি আবেদন পড়ছে কৃষি মন্ত্রণালয়ে। এ আইনের প্রয়োগে সরকারি কর্মক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি দুর্নীতি কমছে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।
কমিশনের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত তথ্য চেয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়-বিভাগসহ নানা সরকারি দফতরে এক লাখ ৩৯ হাজার ৫৪১টি আবেদন পড়ে। ২০২১ সালে তথ্য চেয়ে আবেদন পড়ে ৭ হাজার ৬৫৩টি। এর মধ্যে ৩৪৪টি তথ্যসেবা পাননি আবেদনকারী, বাকিগুলো নিষ্পত্তি হয়েছে। আবেদনকারীদের তথ্য পাওয়ার হার ৯৩ দশমিক ৪৮ শতাংশ। তথ্য না দেওয়ার হার ৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
২০২১ সালে তথ্য চেয়ে সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ে। যার সংখ্যা ৬২২টি। এর পরে রয়েছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। আবেদন সংখ্যা ৩৮১টি। এছাড়া স্বরাষ্ট্রে ৩৮১, প্রতিরক্ষায় ২২৬, স্থানীয় সরকার বিভাগে ১৮৫, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে ১৪২, অর্থ মন্ত্রণালয়ে ৯৯, প্রাথমিক ও গণশিক্ষায় ৬৭, ধর্ম মন্ত্রণালয়ে ৬৩ এবং পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ে তথ্য চেয়ে মোট আবেদন পড়ে ৫৪টি।
তথ্য প্রবাহ সহজ হওয়ায় অনেক সরকারি অফিসে দুর্নীতির পথ বন্ধ হচ্ছে। কোনো নাগরিক তথ্য চেয়ে না পেলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিচ্ছে কমিশন। রয়েছে জরিমানার বিধানও।
বন্ধ হচ্ছে কারসাজি
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার একটি রাজনৈতিক দলের কর্মী রফিকুল ইসলাম। ২০০৭ সালে গ্রামে একটি রাজনৈতিক সংঘর্ষ হয়। এতে সামান্য আহত হয়ে একজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। তার শরীরে তেমন জখম ছিল না। হাসপাতালের রেজিস্টার খাতায়ও উল্লেখ ছিল না তেমন কিছু। পরবর্তীসময়ে রাজনৈতিক চাপে চিকিৎসক ইচ্ছামতো শরীরে জখমের তথ্য লিখে দেন। হাসপাতালের কারসাজিমূলক সনদের কারণে তাকে সেই মামলায় অনেক ভুগতে হয়।
তিনি জানান, তার জীবনে ঠিক একই রকম আরেকটি ঘটনা ঘটে ২০১৯ সালে। তখন ২০০৭ সালের মতো যেন তাকে হয়রানির শিকার হতে না হয় সেজন্য প্রথমেই হাসপাতাল থেকে তথ্য অধিকার আইনে রেজিস্টার খাতার সত্যায়িত তথ্য সংগ্রহ করে নেন। যাতে কোনো চাপে খাতার তথ্য পরিবর্তন না করার সুযোগ থাকে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রফিকুল ইসলামের মতো অনেকেই এখন এ আইনের বিষয়ে সচেতন। তারা এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হলেই তথ্য অধিকার আইনে তথ্য চান। এতে আর কারসাজি করার সুযোগ থাকে না সংশ্লিষ্টদের।
কর্মকর্তাদের দুর্নীতির কারণে সরকারি বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষায় অনেক সময় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েও অনেকেই চাকরি পেতেন না। ভুক্তভোগীরা যখন এই আইনের বলে তথ্য চেয়ে বসেন তখন বেকায়দায় পড়েন ওই কর্তারা। ফলে চাকরির নিয়োগের ক্ষেত্রেও এখন এমন দুর্নীতি অনেকাংশেই কমেছে বলে মনে করেন ভুক্তভোগীরা। আইনসঙ্গত কারণ ছাড়া কাউকে তথ্য সরবরাহ করা না হলে কঠোর শাস্তির বিধানও রাখা হয়েছে।
সুফল পাচ্ছে জনগণ
অনুসন্ধানে দেখা যায়, ময়মনসিংহের মো. আব্দুল মোতালিব ২০২১ সালের ২ মে তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ এর ৮(১) ধারা অনুসারে নান্দাইলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর তথ্য চেয়ে আবেদন করেন। কয়েকদিনের মধ্যে জমি বন্দোবস্ত সংক্রান্ত সেই তথ্য পান তিনি।
কুমিল্লার শ্রীধাম কর্মকার ২৬ জুন ২০২১ সালে তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ এর ৮(১) ধারা অনুসারে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জুলহাস আহমদ ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (আরটিআই) বরাবর কিছু তথ্য জানতে চেয়ে আবেদন করেন। এর আগে করোনাকালীন খামারিদের বরাদ্দ সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরে কয়েকবার আবেদন জানান মৌখিকভাবে। এতে সাড়া না পাওয়ায় সরকারের বরাদ্দের তথ্য চেয়ে লিখিত আবেদন দেন।
এরপরও তথ্য পাননি। পরে তিনি তথ্য কমিশনে অভিযোগ করেন। ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর তথ্য কমিশনের সভায় অভিযোগটি পর্যালোচনা শেষে শুনানির জন্য গ্রহণ করা হয়। শুনানি হয় ভার্চুয়ালি। শুনানিতে প্রতিপক্ষের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (আরটিআই) জানান, অভিযোগকারী চালান জমা দিয়েছেন কিন্তু নগদ বা মানি অর্ডার দেননি এজন্য তথ্য সরবরাহ করেননি।
তবে তথ্য কমিশনের পর্যালোচনায় দেখা যায়, অভিযোগকারী মূল চালানের মাধ্যমে অর্থ জমা দেওয়া সত্ত্বেও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (আরটিআই) অভিযোগকারীর যাচিত তথ্য সরবরাহ করেননি। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (আরটিআই) অভিযোগকারীর যাচিত তথ্য রেজিস্ট্রি এডিসহ ডাকযোগে সরবরাহের নির্দেশনা দিয়ে অভিযোগটি নিষ্পত্তি করা হয়।
অভিযোগকারী দেরিতে হলেও তথ্যসেবা পান নিষ্পত্তির সাত কর্মদিবসের মধ্যে। তথ্য পাওয়ার পর দেখতে পান খামারিরা বরাদ্দ না পেলেও তালিকায় প্রভাবশালীদের নাম ঢুকিয়ে ঠিকই বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে শ্রীধাম কর্মকার বলেন, সবাইকে তথ্য অধিকার আইনের বিষয়ে জানতে হবে। আমরা যত তথ্য অধিকার আইনের আওতায় তথ্য নেবো ততই সুশাসন প্রতিষ্ঠা পাবে।
মনোহরগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মমিনুর রহমান বলেন, শ্রীধাম কর্মকারকে পশুখাদ্যের সব তথ্য মেইলে পাঠানো হয়েছে। উনি যা যা তথ্য চেয়েছেন সব তথ্যই মেইলে সরবরাহ করা হয়েছে।
তথ্য না পেয়ে কমিশনে অভিযোগ
তথ্য না দিলে আইনে ৫০ টাকা থেকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া তথ্য না পেয়ে যদি বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হন আবেদনকারী, তবে এই ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য থাকবেন সংশ্লিষ্টরা।
কমিশন সূত্র জানায়, নির্দিষ্ট সময়ে তথ্য না পেয়ে ৪৬৩ জন আবেদনকারী অভিযোগ করেছিলেন। তথ্য কমিশন এর মধ্যে শুনানি করেছে ২৩৪টির।
সাধারণ মানুষেরই তথ্য পাওয়ার আগ্রহ বেশি
নানা বিষয়ে তথ্য পাওয়ার আগ্রহ বেশি সাধারণ মানুষের। ফলে তথ্য পাওয়ার দিক থেকে প্রথমেই রয়েছে সাধারণ মানুষ। ২৩৪টি অভিযোগ শুনানির মধ্যে ১৬৯ জন ছিলেন সাধারণ মানুষ। এর পরের অবস্থান সাংবাদিকদের, ৬১। এছাড়া আইনজীবী, চাকরিজীবীসহ অন্য পেশার মানুষও তথ্য চেয়ে আবেদন করেন।
ডিজিটাল পদ্ধতিতে স্বপ্রণোদিত তথ্য প্রকাশ, বেড়েছে স্বচ্ছতা
স্বপ্রণোদিত তথ্য প্রকাশ নির্দেশিকা তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ এবং তথ্য অধিকার (তথ্য প্রকাশ ও প্রচার) প্রবিধানমালা, ২০১০ এর আলোকে প্রণীত। তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ এর ৬ ধারা এবং তথ্য অধিকার (তথ্য প্রকাশ ও প্রচার) প্রবিধানমালা, ২০১০ এর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে প্রত্যেক কর্তৃপক্ষ স্বপ্রণোদিত হয়ে তথ্য প্রকাশ ও প্রচার নির্দেশিকা প্রণয়ন করে তথ্য প্রকাশ ও প্রচার করবে। সেক্ষেত্রে আইন ও বিধি অনুসরণে তালিকা প্রস্তুত করে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। এই আইনের আলোকে অধিকাংশ সরকারি সংস্থা স্বপ্রণোদিত তথ্য প্রকাশ করে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে কী পরিমাণে বরাদ্দ দিয়েছে তার তথ্যও ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) প্রতি মাসে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের তথ্য প্রকাশ করে। এছাড়া কোন কোন প্রকল্প সরেজমিনে ভিজিট করা হয় সেই প্রকল্পের তথ্যও অনলাইনে প্রকাশ করা হয়। ফলে কেউ ইচ্ছে করলেই এগুলো আর পরিবর্তন করতে পারবে না। তথ্য প্রবাহের ফলে সরকারি কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা এসেছে বলে দাবি সরকারের।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, আমার মন্ত্রণালয়ে কোনো কিছু গোপন নেই, সব কিছুই ওপেন। আমি কর্মকর্তাদের বলেছি সব তথ্য সাংবাদিকদের দিয়ে দিতে। তথ্যের অবাধ প্রবাহ যত বাড়বে ততই দুর্নীতি কমার পাশাপাশি সুশাসন প্রতিষ্ঠা পাবে। কারণ তথ্যের প্রবাহ বাড়লে সবাই ভয়ে থাকবে। এই ভয় থেকে হলেও কিন্তু দুর্নীতি কমছে। সুশাসন ও ন্যায়-নীতি প্রতিষ্ঠায় বর্তমান সরকারই অবাধ তথ্য সরবরাহ করছে।
আগে থানায় প্রতিটি সাধারণ ডায়েরি খাতায় লিপিবদ্ধ থাকতো। অনেকে মামলা শক্তিশালী বা মামলার মেরিট নষ্ট করতে সাধারণ ডায়েরি অসৎ উপায়ে পরিবর্তন করতে পারতো। সেই সুযোগও ছিল। কিন্তু ডিজিটাল বাংলাদেশে সেই সুযোগ নেই। থানায় সাধারণ ডায়েরি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এটা ওয়েবসাইটে আপ করে দেওয়া হয়। ফলে একবার সাধারণ ডায়েরি হলে পরিবর্তন করার কোনো সুযোগ থাকে না।
দারুস সালাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আমিনুল বাশার বলেন, থানায় জিডি করার সঙ্গে সঙ্গে আমরা অনলাইনে আপ করে দেই। ফলে কেউ ইচ্ছা করলেই এটা পরিবর্তনের সুযোগ নেই। এখন জিডি আবেদনও অনলাইনে করা যায়। আগে থানায় এসে মানুষ টাউট-বাটপারের শিকার হতো। অনলাইনে তথ্য প্রকাশ করায় সব ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা এসেছে।
‘পুলিশ ভেরিফিকেশন, পুলিশ ক্লিয়ারেন্সও অনলাইনে দিয়ে দিচ্ছি। ফলে কেউ পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের নামে সাধারণ জনগণের কাছ থেকে টাকা আদায় করতে পারছে না। তথ্য অধিকার আইনের ফলে পুলিশের সেবায় আরও স্বচ্ছতা এসেছে।’
সার্বিক বিষয়ে প্রধান তথ্য কমিশনার সুরাইয়া বেগম এনডিসি বলেন, তথ্য অধিকার আইনে মানুষ অংশ নিচ্ছে, কমিশনও কাজ করে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষ ও সাংবাদিকরা উপকৃত হচ্ছেন। কমিশন থেকে ট্রেনিং করানো হচ্ছে, মনিটরিংও হচ্ছে। তথ্য অধিকার আইন সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বড় ভূমিকা রাখছে। সবকিছু সম্পর্কে মানুষ অবহিত হচ্ছে।
‘সরকারি প্রতিষ্ঠান তথ্য দিতে বাধ্য। ফলে কর্মকর্তারা মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকেন তথ্য দিতে। যে কেউ যে কোনো তথ্য চাইতে পারেন। ফলে সুশাসন ও জবাবদিহি বেড়েছে। সরকারি অফিস সম্পর্কে জানার সুযোগ তৈরি হয়েছে। ফলে নানা ধরনের দুর্নীতিও কমছে।’
তথ্য অধিকার আইন প্রণয়নে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। এ আইনের ফলে সুশাসন প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি দুর্নীতি অনেকাংশে কমে এসেছে। তথ্য অধিকার আইনের ফলে সুশাসন ও দুর্নীতি প্রতিরোধে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন সম্ভব বলে মনে করে টিআইবি।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, তথ্য অধিকার আইনের ফলে সেবাখাতে দুর্নীতি কমেছে। সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। এটা একটা বড় অর্জন। মানুষ বিভিন্ন সরকারি সংস্থায় তথ্য পাচ্ছে এবং প্রতিকার মিলছে। বিষয়গুলো ইতিবাচক। তবে দুর্নীতির সংস্কৃতি হঠাৎ করে গড়ে ওঠেনি। এটা ঔপনিবেশিক শাসন আমল থেকে চলে আসছে।
‘আমাদের গোপনীয়তার সংস্কৃতি থেকে বের হতে হবে। তবেই সুযোগ সৃষ্টি হবে। তথ্য-উপাত্ত যাদের হাতে আছে তাদের মানসিক পরিবর্তন দরকার। যে পক্ষ তথ্য সরবরাহ করে তাদের আরও মানসিক পরিবর্তন দরকার চাহিদা অনুযায়ী তথ্য সরবরাহ করার জন্য। তথ্য হচ্ছে নাগরিক অধিকার। এই সংস্কৃতি শুরু হয়েছে এটা কাক্সিক্ষত জায়গায় পৌঁছাতে সময় লাগবে। মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি হয়েছে।’
ড. ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, তথ্য অধিকার আইন সম্প্রসারণে সচেতনতামূলক কাজ জোরদার করতে হবে। অনেকে আবার তথ্য চাইতে গিয়ে প্রতিকার পান, অনেক সময় হয়রানি হামলা-মামলার শিকার হতে হয়। সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে তথ্য অধিকার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এটা পুরোপুরি বাস্তবায়ন হলে সুশাসন প্রতিষ্ঠা আরও বেশি হবে। তথ্য অধিকার আইনে সেবা পাওয়ার পাশাপাশি দুর্নীতিও কমছে এতে কোনো সন্দেহ নেই।’