শাবিতে টেকসই সামাজিক উন্নয়ন বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু

17

শাদমান শাবাব শাবি থেকে :
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবি) সমাজকর্ম বিভাগের আয়োজনে দ্বিতীয় বারের মতো আন্তর্জাতিক গবেষণা সম্মেলন শুরু হয়েছে। ‘সমাজকর্ম ও টেকসই সামাজিক উন্নয়ন’ শীর্ষক তিন দিনব্যাপী এই আন্তর্জাতিক সম্মেলন চলবে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত।
বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার ও বাংলাদেশ সরকারের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতে অতিথিদের হাতে ক্রেস্ট ও উত্তরীয় তুলে দেওয়া হয়। এরপর শাবির সাবেক উপাচার্য ও সমাজকর্ম বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক সৈয়দ হাবিবুর রহমানের স্মরণে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক তাহমিনা ইসলামের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. দিলারা রহমান, মালয়েশিয়ার সেইন বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. শাহারুদ্দিন সামশুরিজান, টাটা ইন্সটিটিউট অব স্যোসাল সায়েন্স মুম্বাই ক্যাম্পাসের অধ্যাপক ড. পি কে শাহাজাহান, যুক্তরাষ্ট্রের মনমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. গোলাম মাহথর।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বর্তমানে বিশ্বায়নের কারণে পুরো পৃথিবী এখন একই প্রান্তে। এ ধরনের আয়োজন সকল দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এতে করে বিভিন্ন দেশের মধ্যে পারস্পরিক জ্ঞান ও সংস্কৃতির আদান প্রদান হয়ে থাকে। এছাড়া শিক্ষার্থী ও গবেষকদের সমাজকর্ম বিষয়ক দেশীয় এবং বৈশ্বিক জ্ঞান বৃদ্ধির জন্যই এমন আয়োজনের বিকল্প নেই বলে জানান আয়োজন সংশ্লিষ্টরা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে শুরু হয় শিক্ষক ও গবেষকদের গবেষণাপত্র উপস্থাপন পর্ব। আয়োজকেরা জানান, এবারের সম্মেলনে টেকসই সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে সমাজকর্মের ব্যবহারিক প্রয়োগ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং সমাজকর্ম শিক্ষা এবং একুশ শতকে সমাজকর্মের উদ্ভাবন বিষয়ক মোট ১৬৬ টি গবেষণা পত্র উপস্থাপিত হবে। এতে অংশ নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, ইতালি, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইরান, নেপাল, ভারত, পাকিস্থান, ইন্দোনেশিয়াসহ মোট ১৪টি দেশের ২৫০ জন শিক্ষক ও গবেষক।