সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ॥ জগন্নাথপুরে দুই গ্রুপের বিরোধের বলি শিপন

6

স্টাফ রিপোর্টার :
জগন্নাথপুরের কাশিমপুর গ্রামের আবুল মিয়া ও করিমপুর গ্রামের লেবু মিয়ার বিরোধের জেরে নিজের ঘর হারিয়ে নিস্ব হয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন জগন্নাথপুরের আশারকান্দি ইউনিয়নের কামারগাঁও গ্রামের বাসিন্দা কাজী শিপন আহমদ। বুধবার সিলেট প্রাসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন তিনি। এক দল দুবৃত্তদের দেওয়া আগুনে তার বসতঘরসহ ঘরের যাবতীয় নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান তিনি।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আবুল মিয়া ও তার সহযোগীদের সঙ্গে করিমপুর গ্রামের মৃত সৈয়দ আলীর ছেলে লেবু মিয়া গংদের বিরোধ চলে আসছে। তাদের বিরোধের বলি হয়েছি আমি। গত ১৫ অক্টোবর শনিবার রাতে আমি স্ত্রী, সন্তান সহ অন্যান্য দিনের মত ঘুমিয়ে ছিলাম। রাত অনুমান ৩টার দিকে আগুনের তাপে আমার ঘুম ভেঙে গেলে আমি স্ত্রী-সন্তানসহ ঘর থেকে বের হয়ে দেখি আমার বসতঘর আগুনে জ্বলছে। সে সময় ঘরে জলন্ত আগুনের আলোতে সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার সৈয়দপুর শাহারপাড়া ইউনিয়নের করিমপুর গ্রামের মৃত সৈয়দ আলীর ছেলে লেবু মিয়া, মৃত নবী হোসেনের ছেলে মো. মজনু মিয়া, মৃত সৈয়দ সামছুল ইসলামের ছেলে মামুন মিয়াকে দেখতে পাই। তাদের সাথে থাকা অজ্ঞাতনামা ৫/৬জনকে চিনিতে পারিনি। আমিসহ আমার স্ত্রী সন্তানের চিৎকারে প্রতিবেশিরা এগিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন।
ঘরের আসবাবপত্রও পুড়ে ছাঁই হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, লেবু মিয়া গংদের দেওয়া আগুনে আমার ১৬ হাত দৈর্ঘ্য ও ৮ হাত প্রস্থ টিনসেড বসতঘরটি সম্পূর্ণ পুড়ে ছাঁই হওয়ার পাশাপাশি ঘরে থাকা ব্যবহৃত কাপড়, অন্যান্য জিনিসপত্র, হাঁস, মোরগ পুড়ে লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। সবকিছু হারিয়ে আমি এখন নিস্ব হয়ে পড়েছি। আল্লাহর রহমতে আমি, স্ত্রী-সন্তানসহ প্রাণে বেঁচে যাই। যদি আমার ঘুম না ভাঙতো তাহলে আমাদের প্রাণহানীর আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
এ ঘটনায় গত ১৬ অক্টোবর লেবু মিয়া, মো. মজনু মিয়া ও মামুন মিয়া এবং অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে জগন্নাথপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন জানিয়ে তিনি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ক্ষতিপুরণ আদায়ে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের সুদৃষ্টি কামনা করেন।