পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরা হলো না নিলয়ের

13

হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেলো হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জের এ্যামালগেমেটেড বীর চরণ সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মানবিক শাখার শিক্ষার্থী নিলয় আহমেদের। আহত হন তার বন্ধু সোহেল। গত শনিবার বিকেলে বাহুবলের সাতগাঁও এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
উপজেলার জলসুখা ইউনিয়নের মাধবপাশায় বাড়ি হলেও বাবা মফিজুল ইসলামসহ পরিবার নিয়ে বসবাস করেন পৌরসভার কাটবাজার এলাকায়। সদ্য শেষ হওয়া এসএসসি ও সমমানের পরিক্ষায় অংশ নিয়েছে সে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, পরিক্ষা শেষ হওয়ায় শনিবার (১৫ অক্টোবর) সকালে চার বন্ধু মিলে দুটি বাইকে করে ঘুরতে গিয়েছিলেন চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গলে। কিন্তু বিকেলে ফেরার সময় বাহুবলের সাতগাঁও এলাকায় পৌঁছালে টার্নিং পয়েন্টে রেলিংয়ের সাথে মোটরবাইকের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয় নিলয় এবং তার বন্ধু সোহেল। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে নিলয়ের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাৎক্ষণিক কর্তব্যরত চিকিৎসক নিলয়কে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল হাসপালে পাঠান। মৌলভীবাজারের শেরপুর পৌঁছানোর পর নিলয় মৃত্যুর কোলে ঢলে পরে।
এ বিষয়ে নিলয়ের বন্ধু মোবারক বলেন, “আমরা অন্য বাইকে ছিলাম। নিলয় এবং সোহেল এক বাইকে ছিলো। আমরা এসে দেখি তারা রাস্তায় পরে আছে। সোহেল শুধু আমাদের বলেছে যে কিসের সাথে জানি ধাক্কা লেগেছে তাদের মোটরসাইকেল। তারপর সোহোল অজ্ঞান হয়ে যায়। সোহলের অবস্থাও আশংকাজনক।” নিলয়ের মামাতো ভাই রুজেল আহমেদ বলেন, “মোবারক আমাকে কল দিয়ে জানায় নিলয় একসিডেন্ট করেছে বাহুবল। তারা নিলয়কে নিয়ে হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে আসতেছে। তখন আমি সদর হাসপাতালে যাই। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক নিলয়কে সিলেট এমএ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। সিলেট নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসক নিলয়কে মৃত ঘোষনা করেন।”
এ বিষয়ে বাহুবল থানার উপ-পরিদর্শক সমীরণ দাশ বলেন, ‘বিকালে আনুমানিক সাড়ে চারটার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে রাত আটটার দিকে আমাদের জানানো হয় নিলয় আহমেদ মারা গেছেন।’
নিলয়ের মৃত্যুর সংবাদে তার পরিবার এবং এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। গতকাল রবিবার সকাল ১০ টায় উপজেলার জলসুখা ইউনিয়নের মাধবপাশায় নিলয়ের দাফন সম্পন্ন করা হয়।