তাহিরপুরে সুদের টাকার চাপে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন যুবক

10

বাবরুল হাসান বাবলু তাহিরপুর থেকে :
তাহিরপুরে সুদের চাপে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন এক যুবক। সুদের চাপ থেকে বাচতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েও তিনি সুদখোরের চাপ থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না। উপরন্ত সুদখোর মহাজন সুদের টাকা আদারে জন্য মিথ্যে অভিযোগ এনে কোর্টে মামলা দায়ের করেছেন যুবকের উপর।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ পত্রে জানা যায়, উপজেলার দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের টাকাটুকিয়া গ্রামের বিরাজ রঞ্জন সূর্য্যরেগাঁও গ্রামের সুদখোর মহাজন খাইরুজ্জামান ওরফে নুর ইসলামের কাছ থেকে সুদে ৩ লাখ টাকা এনেছিলেন। ৪ বছরে তিনি সাড়ে ৫ লাখ টাকা সুদ দিয়েছেন। বর্তমানে তার অবস্থা খুব খারাপ থাকায় তিনি আর সুদ দিতে পারেছন না। অপরদিকে সুদ খোর মহাজন তাকে আরো ৩ লাখ টাকা দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে আসছেন অনেকদিন ধরে।
এ অবস্থায় তিনি অপারগ গত মাসের ২৩ আগষ্ট সুদখোর মহাজনের হাত থেকে বাঁচতে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট একটি লিধিখত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের পর থেকে সুদখোর মহাজন তাকে হুমখি ধমকি দিচ্ছে। বর্তমানে তিনি পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এরই ফাকে সুদখোর মহাজন নুর ইসলাম বিরাজ রঞ্জন এর কাছ থেকে টাকা আদায় করতে কোর্টে একটি মামলা করেন জমি ক্রয়ের অজুহাতে।
জানা যায়, বিভিন্ন অসুবিধায় পরে একশো বা তিনশো টাকার সাদা ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর বা টিপ সই দিয়ে সুদের উপর টাকা নিচ্ছেন সাধারণ মানুষ। আর ষ্ট্যাম্পে সাক্ষী থাকছে সুদখোর পছন্দ মত মানুষ। পরবর্তীতে যখন সুদের টাকা দিতে কোন প্রকার বিলম্ব হয় বা দিতে পারেন না তখন সুদখোররা ইচ্ছামতো ষ্ট্যাম্প পূরণ করে নেন।
বিরাজ রঞ্জন বলেন, ব্যবসার জন্য সূর্য্যরেগাঁও গ্রামের সদ ব্যাবসায়ী নুর ইসলামের কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা সুদে এনে সুদ সহ সাড়ে ৫ লাখ টাকা দিয়েছি। গত দু মাস ধরে তিনি আরও ৩ লাখ টাকা সুদ দিতে আমাকে চাপ সৃষ্টি করছেন। এর প্রেক্ষিতে গত মাসে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিটক একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি আমি। আমার কাছ থেকে রাখা স্বাক্ষর করা চেক ও সাদা ষ্ট্যাম্পে তিনি তার মত লিখে আমার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন তিনি। আমি এলাকার মাতাব্বরদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোন সুরাহা পাচ্ছি না। বর্তমানে আমি আমি পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি, সুদের টাকার চাপে বাড়িতেও যেতে পারছি না।
এ বিষয়ে নুর ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, জায়গা বিক্রি করার কথা বলে টাকা নিয়েছেন তিনি। এখন জায়গাও দিচ্ছেন না, টাকাও ফেরত দিচ্ছেন না। তাই আমি টাকা পাওয়ার জন্য কোর্টে মামলা দায়ের করি।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রায়হান কবির বলেন, এ ধরনের একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্তের জন্য আমি থানায় পাঠিয়েছি।