সিলেট জেলা যুবদলের সম্মেলনে ভার্চুয়ালী বক্তব্য রাখলেন তারেক রহমান ॥ ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্রের বিজয়ের চূড়ান্ত আন্দোলন সিলেট থেকে সূচনা হবে —–মির্জা আব্বাস

8
সিলেট জেলা যুবদলের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাস। (ইনসেটে ভার্চুয়ালে অংশ নেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান)

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন- বাংলাদেশে আজ মানুষের ভোটের অধিকার নেই। ভোট ডাকাতির সরকার এ অধিকার কেড়ে নিয়েছে। আন্দোলনের মাধ্যমে এ অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে। দেশের মানুষের ভোটের অধিকার না ফেরানো পর্যন্ত বিএনপি মাঠ ছাড়বে না, আন্দোলন চালিয়ে যাবে। ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্রের বিজয় ছাড়া জাতীয়তাবাদী শক্তিকে থামানোর সাধ্য কারো নেই।
তিনি শনিবার বিকেলে নগরীর ঐতিহাসিক রেজিষ্ট্রারী মাঠে সিলেট জেলা যুবদলের সম্মেলনে ভার্চুয়ালী অংশ নিয়ে উপরোক্ত কথা বলেন। এছাড়া সম্মেলনে উপস্থিত থেকে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা আব্বাস বলেন, বিএনপির ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে জনতার জোয়ার দেখে ফ্যাসিস্ট সরকারের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তাদের পায়ের তলার মাটি সরে গেছে। তারা এখন বিদেশে গিয়ে ক্ষমতায় ঠিকে থাকার জন্য ধর্না দিচ্ছে। আমাদের নেতাকর্মীদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে গুলিবর্ষণ করে ৩ জন ভাইকে শহীদ করা হয়েছে। যুদ্ধে ব্যবহৃত চায়নিজ স্লাইপার রাইফেল দিয়ে নারায়নগঞ্জে যুবদল নেতা শাওন প্রধানকে হত্যা করা হয়েছে। এর সকল জবাব কড়ায় গন্ডায় দিতে হবে।
তিনি বলেন, সিলেট হচ্ছে গুণীজনের স্মৃতি বিজড়িত পুণ্যভূমি। এই মাটির উন্নয়ন করেছেন, নেতৃত্ব দিয়েছেন মরহুম রিয়াল এডমিরাল মাহবুব আলী খান, মরহুম এম সাইফুর রহমান, গুম নামক কারাগারে আটক জননেতা এম ইলিয়াস আলী। তাই যুবদলের সম্মেলনের মাধ্যমে নির্বাচিত নতুন নেতৃতে¦র হাত ধরে ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য সিলেট থেকে আন্দোলনের নবযুগের সূচনা হবে। সিলেট থেকে সূচিত আন্দোলনেই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হবে।
সিলেট জেলা যুবদলের আহ্বায়ক সিদ্দিকুর রহমান পাপলুর সভাপতিত্বে, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব মকসুদ আহমদ, সদস্য মিজানুর রহমান নেছার ও লিটন আহমদের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনের উদ্বোধন করেন যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু।
এর আগে সকালে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন উপস্থিত অতিথিবৃন্দ। এরপর জাতীয় সংগীত ও দলীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা তাহসিনা রুশদি লুনা, খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, ড. এনামুল হক চৌধুরী, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ ক্ষুদ্র ঋত সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী।
প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না। বিশেষ বক্তার বক্তব্য রাখেন, যুবদলের কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ-সভাপতি মামুন হাসান।
সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মিফতাহ সিদ্দিকী, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক নজিবুর রহমান নজিব, সিলেট জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আজিজুল হোসেন আজিজ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আলতাফ হোসেন সুমন, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি সুদীপ জ্যোতি এষ, জেলা সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দিনার ও মহানগর সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী আহসান।
সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে বিএনপি ও যুবদলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
এদিকে, সম্মেলন ঘিরে যুবদল নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা যায়। শনিবার সকাল থেকেই শত শত নেতা-কর্মী মিছিল সহকারে সম্মেলনস্থলে এসে হাজির হন। নেতা-কর্মীদের মিছিল, শ্লোগানে সম্মেলনস্থলে উৎসবের আবহ বিরাজ করে। বিএনপি, জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের শ্লোগান দেন নেতা-কর্মীরা। তাদের মুখে সরকারবিরোধী শ্লোগানও শোনা যায়। সম্মেলনস্থল রেজিস্টারি মাঠে বড় আকারের প্যান্ডেল বসানো হয়। মাঠের চারপাশজুড়ে ব্যানার, ফেস্টুন, প্লেকার্ড লাগানো হয়েছে। জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া, তারেক রহমানের বড় বড় ছবিও শোভা পেয়েছে মঞ্চ ও স্টেজ জুড়ে। বিজ্ঞপ্তি