সংসদে শোক প্রস্তাব গৃহীত ॥ ফজলে রাব্বি মিয়ার মৃত্যু বড় ক্ষতি – প্রধানমন্ত্রী

1

কাজিরবাজার ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা অভিজ্ঞ পার্লামেন্টারিয়ান, দক্ষ আইনজীবী ও প্রবীণ রাজনীতিক ডেপুটি স্পীকার এ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বলেছেন, যেকোন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা ফজলে রাব্বি মিয়া অর্জন করতে পেরেছিলেন। তার মতো একজন নিবেদিত প্রাণ ও একজন সামাজিক মানুষের মৃত্যুতে আমাদের দেশের জন্যও বড় ক্ষতি হয়ে গেল।
স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে রবিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনের প্রথম দিনে আনীত শোক প্রস্তাবের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, প্রয়াত ডেপুটি স্পীকার ফজলে রাব্বি মিয়া দল পরিবর্তন করেও কিন্তু জয়ী হয়েছেন। একটি জায়গা (নির্বাচনী আসন) থেকে বার বার জয়ী হওয়া অর্থাৎ তার নিজস্ব জনপ্রিয়তা, মানুষের কাছে ফজলে রাব্বি মিয়ার গ্রহণযোগ্যতা সেটা ছিল অতুলনীয়। মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস তিনি অর্জন করতে পেরেছিলেন।
রবিবার জাতীয় সংসদে স্পীকার শোক প্রস্তাবটি উত্থাপন করলে সর্বসম্মতিক্রমে সাবেক ডেপুটি স্পীকার এডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়ার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শোক প্রকাশ করে জাতীয় সংসদ। সংসদে এ সংক্রান্ত আনা শোকপ্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করা হয়। এর আগে প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা ছাড়াও শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নেন আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা আমির হোসেন আমু, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, বেগম মতিয়া চৌধুরী, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শাজাহান খান, এডভোকেট কামরুল ইসলাম, হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, হুইপ মাহবুব আরা গিনি, সাবেক চীফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলের উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের, চীফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গা, ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও কাজী ফিরোজ রশীদ।
চলতি সংসদের সংসদ সদস্য ফজলে রাব্বি মিয়ার মৃত্যুতে শোকপ্রস্তাব গ্রহণের পর রেওয়াজ অনুযায়ী সংসদের বৈঠক মুলতবি করা হয়। এর আগে ফজলে রাব্বিসহ মৃত্যুবরণকারীদের প্রতি সম্মান দেখাতে নিজ নিজ আসনে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন শেষে মরহুমদের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করে মোনাজাত করা হয়। উল্লেখ্য ডেপুটি স্পীকার ফজলে রাব্বি মিয়া গত ২৩ জুলাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
ফজলে রাব্বি মিয়ার মৃত্যুতে শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনাকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ফজলে রাব্বি মিয়া সাতবার এই সংসদে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার ছাত্র রাজনীতি থেকে যাত্রা শুরু। তিনি ছাত্রলীগ করেছেন। এরপর যুবলীগ করেছেন। আওয়ামী লীগ করেছেন। একটা সময় তিনি জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেন। সেখান থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি বিভিন্ন সংসদীয় কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।