বঙ্গবন্ধুর অবশিষ্ট পলাতক খুনীদের দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসি কার্যকর করতে হবে – বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ

13
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সিলেট জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করছেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।

সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ বলেছেন, আজ ১৫ আগষ্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস। এটি বাঙালির ইতিহাসের একটি বেদনাবিধুর দিন। ১৯৭৫ সালের এই দিনে জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যা করা হয়। এই হত্যার মাধ্যমে বাঙালির অগ্রযাত্রাকে রুঁখে দেওয়ার প্রচেষ্টা করা হয়েছিল। পরবর্তীতে জাতির পিতা হত্যার বিচার না করে তাদেরকে পুনর্বাসনসহ বিদেশে চাকুরী দেওয়া হয়েছিল। যারা এটি করেছিল তাদেরকে ধিক্কার জানাই। যারা স্বাধীনতার মহান স্থপতিকে হত্যা করতে পারে তাদের মতো জঘন্য মানুষ পৃথিবীতে নেই। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা হত্যার বিচার করেছেন এবং ফাঁসি দিয়েছেন। কিন্তু এখনো আরও কয়েকজন মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত পলাতক খুনী রয়েছেন। তারা পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে আছেন। তাদেরকে ফিরিয়ে এনে ফাঁসি কার্যকর করতে হবে। তাহলেই বঙ্গবন্ধুসহ শহীদদের আত্মা শান্তি পাবে। তিনি আরও বলেন, এখনো ষড়যন্ত্র হচ্ছে। বিএনপি-জামায়াত ষড়যন্ত্র করে সরকারের পতন চায়। আজকের মতোই মহানগর আওয়ামী লীগ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের ঐক্যের মাধ্যমে সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা হবে। কোনো অবস্থাতেই এইসব দুষ্টদের ছাড় দেওয়া যাবে না। তিনি আগামী ১৭ ও ২১ আগষ্ট সকল নেতা-কর্মীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণের আহবান জানান। তিনি জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের নিহত সকল সদস্য সহ অন্যান্য শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বক্তব্য শেষ করেন।
সোমবার (১৫ আগষ্ট) বাদ যোহর গুলশান সেন্টার মহানগর আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকীতে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল, শিরণী বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শোকাবহ আগষ্টের কর্মসূচির অংশ হিসেবে এর পূর্বে সূর্য উদয়ের ক্ষণে দলের অস্থায়ী কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, কালো পতাকা উত্তোলন ও কালো ব্যাজ ধারণ করা হয়। সকাল ৯ টা ৩০ মিনিটে কোর্ট পয়েন্টে মিলিত হয়ে শোক-শোভাযাত্রা সহকারে জেলা প্রশাসনের কার্যালয় প্রাঙ্গণে স্থাপিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোঃ জাকির হোসেনের পরিচালনায় বক্তব্য প্রদান করেন মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আলম রুমেন, মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহানারা বেগম, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু দাস মিঠু, মহানগর মৎস্যজীবী লীগের আহবায়ক মোঃ আব্দুল মালিক এডভোকেট, মহানগর কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আব্দুর রকিব বাবলু।
দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন রায়নগর বায়তুল বরাত জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মওলানা হাফিজ আবিদ হাসান রাহমানি। দোয়া মাহফিলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সহ পরিবারের সকল নিহত সদস্যের রুহের মাগফেরাত কামনা করা হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র দীর্ঘায়ু কামনা সহ দেশ ও জাতি এবং বিশ্বের শান্তি কামনা করা হয়। শহীদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতাও পালন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আসাদ উদ্দিন আহমদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক, ফয়জুল আনোয়ার আলাওর, বিজিত চৌধুরী, নুরুল ইসলাম পুতুল, এডভোকেট প্রদীপ কুমার ভট্টাচার্য্য, মোঃ সানাওর, জগদীশ চন্দ্র দাস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এটি.এম হাসান জেবুল, আজাদুর রহমান আজাদ,বিধান কুমার সাহা, আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট বেলাল উদ্দিন, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক তপন মিত্র, এাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মখলিছুর রহমান কামরান, দপ্তর সম্পাদক খন্দকার মহসিন কামরান, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক নজমুল ইসলাম এহিয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুর রহমান জামিল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মহিউদ্দিন লোকমান, যুব ও ক্রিয়া বিষয়ক সম্পাদক সেলিম আহমদ সেলিম, শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক প্রদীপ পুরকায়স্থ, শ্রম সম্পাদক আজিজুল হক মঞ্জু, সাংস্কৃতিক সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ মোহাম্মদ হোসেন রবিন,সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট সৈয়দ শামীম আহমদ, উপ-দপ্তর সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্ত্তী রনি, সহ-প্রচার সম্পাদক সোয়েব আহমদ।
মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য আজম খান, আব্দুল আহাদ চৌধুরী মিরন, মোঃ আব্দুল আজিম জুনেল, মোঃ শাজাহান, মুক্তার খান, এডভোকেট মোহাম্মদ জাহিদ সারোয়ার সবুজ, রাহাত তরফদার, এমরুল হাসান, সুদীপ দেব, সাব্বির খান, সৈয়দ কামাল, সাইফুল আলম স্বপন, তাহমিন আহমেদ, রোকসানা পারভীন, ওয়াহিদুর রহমান ওয়াহিদ, জামাল আহমদ চৌধুরী, খলিল আহমদ, আবুল মহসিন চৌধুরী মাসুদ, ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান সুহেদ, শিপা বেগম শুপা, এডভোকেট তারান্নুম চৌধুরী, জুমাদিন আহমেদ, ইলিয়াছ আহমেদ জুয়েল, সম্মানিত জাতীয় পরিষদ সদস্য এডভোকেট রাজউদ্দিন, মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা আব্দুল মালিক সুজন, এনাম উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সত্যেন্দ্র দাস তালুকদার খোকা বাবু, কানাই দত্ত, মহানগর শ্রমিক লীগের সভাপতি শাহারিয়ার কবির সেলিম, মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি, সাধারণ সম্পাদক মুসফিক জায়গিরদার।
ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ জুনেদ আহমদ শওকত, জুনু মিয়া, হায়দার মোঃ ফারুক, সালউদ্দিন বক্স সালাই, ফখরুল হাসান, সিরাজুল ইসলাম শামীম, এডভোকেট সরওয়ার চৌধুরী আবদাল, দেলোওয়ার হোসেন রাজা,ইসমাইল মাহমুদ সুজন, মুফতি আব্দুল খাবির, তাজ উদ্দিন লিটন, জায়েদ আহমেদ খাঁন সায়েক, নজরুল ইসলাম নজু, এডভোকেট মোস্তফা দিলোয়ার আজহার, শেখ সুরুজ আলম, মোঃ বদরুল ইসলাম বদরুল, মানিক মিয়া, এডভোকেট বিজয় কুমার দেব বুলু, আহমেদ হান্নান, মাহবুব খান মাসুম, রুমিন আহমদ, মঈনুল ইসলাম মঈন, ফজলে রাব্বি মাসুম, শেখ সোহেল আহমদ কবির, জাবেদ আহমদ, সেলিম আহমদ সেলিম, মোঃ ছয়েফ খাঁন, এডভোকেট আরিফ আহমদ, সোয়েব বাসিত, জাবের আহমদ, এম.এ খান শাহীন, সাজোয়ান আহমদ, শফিকুল হক, এম.এন ইসলাম প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি