কোম্পানীগঞ্জে চিপ-পাথরের নৌকা ধরে অবাধে ভাঙ্গছে বিজিবি

21
কোম্পানীগঞ্জে ভাংচুরকৃত চিপ-পাথরের নৌকা।

লবীব আহমদ কোম্পানীগঞ্জ থেকে :
কোম্পানীগঞ্জের ধলাই নদীর ১০ নম্বর এলাকায় চিপ-পাথরের নৌকা ধরে অবাধে ভাঙ্গছে বিজিবির সদস্যরা। চিপ-পাথরের নৌকা ধরে জব্দ না করে সেগুলো ভাঙ্গায় নষ্ট হচ্ছে সরকারের টাকা। এ ছাড়াও এই নৌকাগুলোর পাথর রাতের আঁধারে তাদের মাঝিকে দিয়ে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে বিজিবি সদস্যদের বিরুদ্ধে। নৌকাগুলো না ভেঙ্গে কাস্টমসের মাধ্যমে নিলাম দিলে সরকারের কোষাগারে জমা হতো এই টাকা। প্রতিটি নৌকা তৈরী করতে ৪০-৫০ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। বিজিবির সদস্যরা এই নৌকাগুলো ভাঙ্গে সরকারের এই টাকাগুলো নষ্ট করছে।
জানা যায়, বিজিবি সদস্যরা নৌকাগুলো আটক করে জব্দ করতে পারে সেগুলো ভাঙ্গার কোন অনুমতি নেই। ১০ নম্বর বিজিবি পোস্টের সামনে কয়েকশত নৌকা ভেঙ্গে রাখা হয়েছে।
বালু থেকে নেটের মাধ্যমে ছেঁকে শ্রমিকরা সংগ্রহ করে চিপ। এটাকে নুড়ি পাথরও বলা হয়। একটি নৌকাতে ৪ জন দিনমজুর শ্রমিক থাকেন। পেটের দায়ে কাজ করা এসব শ্রমিক দিনে ৩ বার বারকি চিপ সংগ্রহ করতে পারেন। বালু থেকে ছেঁকে সংগ্রহ করা এসব চিপের নৌকা ধরে ভাঙ্গছে ১০ নম্বর বিজিবি পোস্টের দায়িত্ব প্রাপ্ত বিজিবি সদস্যরা।
শ্রমিকরা জানান, বিজিবি সদস্যরা পাথর দেখে দেখে নৌকা আটক করে নিয়ে আসে ১০ নম্বর পোস্টের ঘাটে। সেখানে পাথর আনলোড করে নৌকা উপরে তুলে পাথর দিয়ে ভেঙ্গে ফেলা হয়। আর নৌকা থেকে প্রাপ্ত পাথর পরদিন এসে পাওয়া যায় না। রাতের আঁধারে বিজিবির নৌকার মাঝি আফরোজ সেই পাথর গুলো নিয়ে বিক্রি করে দেয়। নৌকা ধরে ভাঙ্গার কারণে নৌকার মহাজনকে ক্ষতিপূরণ দিতে হয়। ভাড়ায় চালিত এসব নৌকা বিজি ধরে ভেঙ্গে ফেললে ১০ থকে ১৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হয়।
এ বিষয়ে বিজিবি কালাশাদেক কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার রহিমের সাথে কথা হলে তিনি জানন, যে নৌকাগুলো পাথর আনতে যায় সেগুলো ধরে ১০ নম্বর পোস্টের সামনে এনে ভেঙ্গে রাখা হয়। নৌকাগুলো কাস্টমসের মাধ্যমে নিলাম না করে তারা ভাঙ্গার অনুমতি কি করে পেলেন জানতে চাইলে তিনি আর কোন কথা না বলে ফোন কেটে দেন।