দোয়ারাবাজারে তৃতীয় দফা বন্যা, উদ্বেগ উৎকন্ঠায় বানভাসিরা

2

দোয়ারাবাজার থেকে সংবাদদাতা :
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে দ্বিতীয় দফা ভয়াবহ বন্যার রেশ না কাটতেই তৃতীয় দফা বন্যার সূচনা। ইতিমধ্যে উপরিভাগ থেকে বন্যার পানি সরে যাওয়া বিভিন্ন এলাকা আবারো প্লাবিত হওয়ায় উদ্বেগ-উৎকন্ঠায় বিচলিত হয়ে পড়েছেন উপজেলাবাসী।
সাম্প্রতিক সর্বনাশা ভয়াবহ বন্যায় বিধস্ত ব্রিজ-কালভার্ট আর ভাঙন কবলিত বিভিন্ন কাঁচা-পাকা সড়কের পানি নামতে থাকায় জরুরি কাজে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জলস্থল ডিঙিয়ে চলাচল শুরু করছিলেন সকল পেশার লোকজন। কিন্তু নিম্নাঞ্চলের পানি অপরির্তীত থাকলেও উপরিভাগের পানি ্ক্রমশ কমার তিন দিনের মাথায় আবারো বন্যার অশনি সংকেত। উপজেলা ও জেলা সদরের সাথে আবারো বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সড়ক যোগাযোগ। বিনিদ্র রাতদিন আতঙ্কে কাটছে সুরমা, বগুলা, মান্নারগাঁও ও দোয়ারা সদরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের বানভাসি লাখো মানুষের। কেননা দ্বিতীয় দফা আগ্রাসী বন্যার পানি এখনো নামেনি নিম্নাঞ্চল থেকে। পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে সর্বস্ব হারানোর ভয়ে বিপাকে পড়েছেন গবাদি পশু ও মৎস্য খামারীসহ কৃষিজীবী ও বিভিন্ন পেশাজীবীরা।
অপরদিকে সরকারি ও বেসরকারিভাবে ত্রাণসামগ্রী বিতরণে নিম্ন আয়ের পরিবারগুলো মোটামুটি চলতে পারলেও কঠিন বিপাকে পড়েছেন মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো। সমাজে আত্মসম্মান রক্ষার্থে চক্ষুলজ্জায় সাহায্যের জন্য হাত বাড়াতে পারেননি তারা। নিরবে সইছেন সব ব্যথা-বেদনা। পরিবার-পরিজন নিয়ে লোকচক্ষুর আড়ালে খেয়ে না খেয়ে কোনোমতে কালযাপন করছেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকার পর শুক্রবার সকাল থেকে বিকালে এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত বন্ধ থাকায় পানি স্থবির রয়েছে। তবে রাতভর বর্ষণ হলে পানিবৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা প্রিয়াংকা, বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দেওয়ান তানভীর আল আশরাফী চৌধুরী বাবু, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক অধ্যক্ষ ইদ্রিস আলী বীর প্রতীক, ওসি দেবদুলাল ধরসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্মকর্তা, রাজনৈতিক, সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবি সংঘঠনের নেতৃবৃন্দ প্রতিদিন উপদ্রুত এলাকা পরিদর্শন করেন। এসময় বানভাসিদের মধ্যে বিভিন্ন ত্রাণসামগ্রীও বিতরণ করেন তারা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা প্রিয়াংকা বলেন, পাউবো’র সাথে যোগাযোগ ছাড়াও বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমাদের মনিটরিং অব্যাহত রয়েছে। প্রশাসনসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও এ বিষয়ে তৎপর রয়েছেন। হাতে পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রীও মজুত রয়েছে বলেও তিনি জানান।