পানি কমলেও বাড়ি ফিরতে পারছেন না আশ্রয় কেন্দ্রে উঠা লোকজন

8
তাহিরপুরে বন্যায় ভেঙ্গে যাওয়া রতনশ্রী গ্রামের একটি বাড়ি।

বাবরুল হাসান বাবলু তাহিরপুর থেকে :
পানি কমলেও বাড়ি ফিরতে পারছেন না আশ্রয় কেন্দ্রে ওঠা বানভাসি লোকজন। হাওরের ঢেউয়ে ভেঙ্গে যাওয়া ঘর মেরামত না করা পর্যন্ত আশ্রয় কেন্দ্রই তাদের ভরসা। এ চিত্র উপজেলার শতাধিক আশ্রয় কেন্দ্রের।
উপজেলা সদর রতনশ্রী গ্রামের বানভাসি মাফজল মিয়া। তিনি ১৭ জুন শেষ রাতে নৌকা যোগে কোন রকম তাহিরপুর সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্র পরিবার পরিজন নিয়ে ওঠেন। তিনি জানান, বন্যার পানি বাড়ার সাথে সাথে হাওরের ঢেউয়ে তার ঘর ভেঙ্গে যায়। সব কিছু ফেলে তিনি প্রাণে বাচার জন্য আশ্রয় কেন্দ্র চলে যান। এখন ঘর মেরামত না করা পর্যন্ত তিনি আর ঘরে ফিরতে পারছেন না। সেই সাথে ঘর মেরামত ও খাবারের চিন্তা তো রয়েছেই।
একই অবস্থা মধ্য তাহিরপুর আশ্রয় কেন্দ্রে উঠা কাঁচা মিয়ার। তিনি জানান, নদীর স্রোতে তার কাচা ঘরবাড়ি ভেঙ্গে গেছে। ঘরের মেঝেতে স্যাত স্যাতে পানি। এ অবস্থায় ইচ্ছে থাকলেও ঘরে ফিরতে পারছেন না তিনি।
এ অবস্থা শুধু তাহিরপুর সদর ও আশপাশের আশ্রয় কেন্দ্র নয়। এ চিত্র উপজেলার সর্বত্রই। অনেকের বসত ঘর গেছে অনেকের গরু মহিষের ঘর গেছে। এ অবস্থায় গরু মহিষ নিয়েই অনেকে আশ্রয় কেন্দ্রে আছেন।
ঘর বাড়ি মেরামত না হওয় পর্যন্ত বাড়ি ফিরতে পারছেন না। বাড়ি ফিরে কি হবে। থাকার জায়গা নেই। তাই অনেকটা বাধ্য হয়েই আশ্রয় কেন্দ্র ছাড়ছেন না।
তাহিরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ (আশ্রয়কেন্দ্র) অধ্যক্ষ ইয়াহিয়া তালুকদার জানান, এখনো ৩ টি পরিবার রয়েছে। তাদের যেতে আরো দু একদিন সময় লাগবে।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রায়হান কবির বলেন, বন্যায় অনেক পরিবারের বাড়িঘর ভেঙ্গে গেছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের তালিকা করে দ্রুত পুনর্বাসনের ব্যাবস্থা করছি। যাতে আশ্রয়কেন্দ্রে উঠা লোকজন দ্রুত সময়ের মধ্যে বাড়ি ফিরতে পারে।