প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার বাস্তবায়ন চাই

6

রাষ্ট্রের বিশেষ পরিস্থিতি বিবেচনা করেই নিরাপত্তা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এবারও তাই হয়েছে। করোনা মহামারী এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে সৃষ্ট আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি, অভ্যন্তরীণ রাজনীতি, আইনশৃঙ্খলা, দ্রব্যমূল্য, যানজট, পদ্মা সেতুর উদ্বোধন ইত্যাদি বিষয়ে পর্যালোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে এবারের বৈঠক। কমিটির আহ্বায়ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠক থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
করোনা মহামারী এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ঝড় বয়ে যাচ্ছে বিশ^ অর্থনীতিতে। বিশে^র সকল দেশে পণ্য সরবরাহ কমে গেছে, দ্রব্যমূল্য বাড়ছে হু হু করে। এই ঢেউ বাংলাদেশের বাজারেও লেগেছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অভ্যন্তরীণ বাজার সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য। বৈঠকে পরিস্থিতি পর্যালোচনার পর পণ্য সরবরাহ বৃদ্ধির জন্য যথাযথ দেশ থেকে আমদানি বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে পণ্যমূল্য সহনীয় রাখতে প্রতিদিন বাজার মনিটরিং করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বৈঠকে বলা হয়, এ ধরনের পরিস্থিতিতে এক শ্রেণীর ব্যবসায়ী পণ্য মজুদ করে মূল্যবৃদ্ধির চেষ্টা করে থাকে। এদের বিরুদ্ধে নিতে হবে কঠোর ব্যবস্থা।
দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে বৈঠকের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্রে বিশ^াস করি। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দেশের প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের কর্মসূচী পালনের অধিকার রয়েছে। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালনে কাউকেই বাধা দেয়া যাবে না। নিয়ম মেনে শান্তিপূর্ণভাবে সভা-সমাবেশ, সেমিনার করতে পারবে। কর্মসূচীর নামে কোন প্রকার অরাজকতা বরদাস্ত করা হবে না।’ বৈঠকে যানজট নিয়ে আলোচনায় রাস্তাঘাটে অস্থায়ী স্থাপনা উচ্ছেদ, নিষিদ্ধ রাস্তায় রিক্সা চলাচল বন্ধ, উন্নয়ন কাজের জন্য বন্ধ হয়ে থাকা রাস্তা যত দ্রুত সম্ভব খুলে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কঠোরভাবে দায়িত্ব পালনের কথা বলা হয়েছে ট্রাফিক বিভাগকে।
পদ্মা সেতু প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, অনেক ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে নির্মিত হয়েছে সেতুটি। এখন ষড়যন্ত্রকারীদের গাত্রদাহ হচ্ছে। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের সময় এরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে। সেদিকে কঠোর নজরদারি করতে হবে। চলমান পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির বৈঠকটি ছিল খুব গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘ পর্যালোচনা শেষে বৈঠক থেকে অনেক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এগুলোর যথাযথ বাস্তাবয়ন করেই বাংলাদেশ পরিস্থিতি মোকাবেলার পাশাপাশি অব্যাহত রাখতে পারে চলমান উন্নয়ন প্রক্রিয়া।