ঋতুরাজ বসন্ত ও ভালোবাসা দিবসে নগরীর পর্যটন স্পটে উপচেপড়া ভিড়

6
বসন্ত বরণের উৎসবে মেতেছে কিশোরীরা। ছবি- মামুন হোসেন

স্টাফ রিপোর্টার :
করোনাকালীন বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে রাজঋতু বসন্তে সিলেট নগরীর বিভিন্ন পর্যটন স্পট ও নান্দনিক স্থানে সোমবার ছিলো উপচেপড়া ভিড়। এ সময় ওইসব স্থানে মুখরিত ছিলো তরুণ-তরুণী, যুবক-যুবতীসহ নানা বয়েসি মানুষের কোলাহল।
সোমবার ১৪ ফেব্রুয়ারি ছিলো পহেলা ফাল্গুন। ছিলো ভালোবাসা দিবসও। দু’উৎসব এক হয়ে যেন হলুদের রং লেগে ছিলো তরুণ-তরুণী, যুবক-যুবতীসহ নানা বয়েসি মানুষের অন্তর-দেহে। সোমবার বিকেলে হলুদ শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ আর পাঞ্জাবি পরে মহানগরীর বিভিন্ন চা বাগান, ওয়াকওয়ে ও দৃষ্টিনন্দন খোলা জায়গায় ভিড় জমান নারী-পুরুষ ও শিশুরা। এসময় তারা যাপিত জীবনের সব দুঃখ-কষ্ট ভুলে মেতে ওঠেন হৈ-হুল্লুড়ে, সেলফিবাজিতে।
বসন্তের প্রথম দিন ও ভালোবাসা দিবসে সিলেটবাসী তাদের যান্ত্রীক নগরজীবনকে ছুড়ে ফেলে সাজেন ভিন্নরূপে। লাখো মানুষের কোলাহলপূর্ণ নগরী সোমবার বিকেলে যেন হয়ে উঠে রাজঋতু বসন্তের ফাগুন।
বিকেলে এয়ারপোর্ট রোড ও গুয়াবাড়ি এলাকার চা বাগানগুলোতে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানের সবুজে যেন লেগেছে হলুদ আগুন। নারী-পুরুষ, স্বামী-স্ত্রী, বৃদ্ধা-বনিতা থেকে শুরু করে বাধ যায়নি কেউই। রয়েছে শিশু কিশোররাও। মনের আনন্দের সঙ্গে পোশাকে জড়িয়েছেন বসন্তের রঙ, বিশেষ করে মেয়েদের সাজসজ্জায় এ আবহটা অনেক বেশি। বাসন্তী রঙের শাড়ির সঙ্গে কেউ খোঁপায় গুঁজেছেন হলুদ গাঁদা কিংবা লাল গোলাপ। কারও বা কপালে টিপের সঙ্গে মাথায় ছিল নানা রকমের ফুলজড়ানো টায়রা। ছেলেদের পাঞ্জাবি বা ফতুয়ায় ছিলো বসন্তের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ রঙের আবহ।
আলোর ফেরিওয়ালা
এবারের ভালোবাসা দিবসে সিলেটের আলোর ফেরিওয়ালা ইমতিয়াজ রহমান ইনু অন্যরকম এক উদ্যোগ নিয়ে মাঠে সরব ছিলেন। ‘এসো হে বন্ধু, মাদক ছেড়ে ফুলকে ভালবাসি’-শ্লোগান নিয়ে তিনি মাদকাসক্তদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। পাশাপাশি মাদকমুক্ত সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। এসময় ইনু মাদকাসক্তির কুফল ও সুস্থ স্বাভাবিক জীবনের সুফলগুলো তাদের সামনে তুলে ধরেন।
তিনি নগরীর কিনব্রিজের উত্তর-দক্ষিন প্রান্ত, সিলেট আলিয়া মাদ্রসা মাঠ এলাকায় মাদকাক্তদের মধ্যে ফুল বিতরণ ও শুভেচ্ছা জানান। এ সময় ইনু বলেন, বর্তমানে মাদকাসক্তের সংখ্যা দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। তাদেরকে সুস্থতার পথে ফিরিয়ে আনতে তিনি সরকারের প্রতি আকুল আবেদন জানান। তিনি বলেন, মাদকাসক্তদের সঠিক চিকিৎসা ও কারিগরি প্রশিক্ষনের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা সম্ভব। আর তাই তিনি তাদের জনশক্তিতে পরিণত করে দেশ গঠনে মূল্যবান অবদান রাখার সুযোগ সৃষ্টির দাবি জানান।