জগন্নাথপুরে বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করলেন পাউবো’র উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী

9

জগন্নাথপুর থেকে সংবাদদাতা :
জগন্নাথপুরে হাওরের ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধের কাজ সরকারি বেধে দেয়া নির্দিষ্ট মেয়াদের আগেই শেষ করতে নিয়মিত তদারকি করছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের জগন্নাথপুর উপজেলা উপ-সহকারি প্রকৌশলী হাসান গাজী সহ স্থানীয় পাউবো’র কর্মকর্তারা। সেই সাথে উপজেলা প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও জনপ্রতিনিধিরা বিভিন্ন সময়ে বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করছেন। এরই ধারাবহিকতায় ৩১ জানুয়ারি সোমবার মইয়ার হাওর রক্ষা বেড়িবাঁধের ১৫, ১৬ ও ১৭নং পিআইসি প্রকল্প সহ বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন করেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ ইরফানুল ইসলাম। এ সময় জগন্নাথপুর উপজেলা উপ-সহকারি প্রকৌশলী হাসান গাজী, ১৭নং পিআইসি কমিটির সভাপতি সাজিদুর রহমান খলিল, ১৫নং পিআইসি কমিটির সভাপতি কামাল মিয়া সহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় পিআইসিদের দ্রুত কাজ শেষ করার তাগিদ দেন উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ ইরফানুল ইসলাম।
এর মধ্যে সব থেকে বড় ভাঙন স্থানীয় কলইকাটা ডহর এলাকা। এখানে দুই দিকে দুইটি গভীর ডহর রয়েছে। মধ্যস্থানে নির্মাণ করা হচ্ছে বেড়িবাঁধ। প্রায় ৪০ ফুট গভীর এ ভাঙনটি নির্মাণের জন্য প্রায় ৩১ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৬ ও ১৭নং প্রকল্প দেয়া হয়েছে। ভাঙনের অধিকাংশ এলাকা পড়েছে ১৭নং প্রকল্পে। এখানে প্রায় ২০ থেকে ৩০ ফুট পানি রয়েছে। গভীর পানিতে মাটি ভরাট করে নির্মাণ করা হচ্ছে বাঁধ। এ ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে এস্কেভেটর মেশিন ও শ্রমিক দিয়ে দিনরাত মাটি ভরাটের কাজ করছেন বলে ১৭নং পিআইসি কমিটির সভাপতি সাজিদুর রহমান খলিল জানান।
তবে একই ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে আরেক অংশের কাজ পাওয়া ১৬নং পিআইসি প্রকল্পে কোন কাজ করতে দেখা যায়নি। যদিও এ পিআইসি কমিটির সভাপতি বিপ্লব চন্দ্র দাস জানান, আগে কাজ করেছি। এখন মেশিন নষ্ট থাকায় আপাতত কাজ বন্ধ রয়েছে।
এছাড়া ১৫নং পিআইসি প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলতে দেখা যায়। এ প্রকল্পের সভাপতি কামাল মিয়া জানান, আমার প্রকল্পে ২টি ভাঙন রয়েছে। এসব ভাঙনে মাটি ভরাট কাজ চলছে। আমি দ্রুত কাজ শেষ করতে চাই। যে কারণে দিনরাত কাজ করছি।