নারীদের ছবি ব্যবহার করে অর্থ দাবির অভিযোগে প্রতারক গ্রেফতার

5

স্টাফ রিপোর্টার :
বিয়ানীবাজার এলাকা থেকে নারীদের ছবি এডিটের মাধ্যমে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশ্লীলভাবে প্রচারের হুমকি ও অর্থ দাবীর অভিযোগে এক প্রতারককে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৯’র সদস্যরা। বৃহস্পতিবার রাতে সুতারকান্দি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত প্রতারকের নাম, বিয়ানীবাজার থানার সুতারকান্দি গ্রামের খসরুজ্জামান মিয়ার পুত্র মো: শাকিল আহম্মেদ (৩০)।
র‌্যাব-৯’র প্রেসবিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গেছে, গত ২২ জানুয়ারী র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়নে লিখিত অভিযোগ করেন যে, একজন ব্যক্তি অনলাইন যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে তার ব্যক্তিগত ছবি এডিটের মাধ্যমে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশ্লীলভাবে প্রচারের হুমকি ও অর্থ দাবি করছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে র‌্যাব-৯, সিলেট অনুসন্ধান পূর্বক ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের নিমিত্তে কার্যক্রম শুরু করে।
প্রাথমিক তদন্তে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ভিকটিমের সঙ্গে ২ বৎসর পূর্বে ফেসবুকে অভিযুক্ত ব্যক্তির পরিচয় হয়। পরিচয় হওয়ার সুযোগ নিয়ে প্রতিনিয়ত ভিকটিমের সাথে মো: শাকিল আহম্মেদের অনলাইনে যোগাযোগ চলতে থাকে। পরে ভিকটিমকে অভিযুক্ত ব্যক্তি জানায় যে, সে স্ব-পরিবারে লন্ডনে থাকে এবং লন্ডনে একটি প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করে। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে ও বিয়ের জন্য প্রস্তাব দেয় এবং বিয়ের পরে ভিকটিমকেও লন্ডনে নিয়ে যাবে বলে আশ^^স্ত করে। সেই সম্পর্কের জের ধরে হোয়াটসঅ্যাপে ভিকটিমকে ফুসলিয়ে ভিকটিমের কিছু ব্যক্তিগত ছবি সংগ্রহ করে। গত কিছুদিন ধরে মো: শাকিল আহম্মেদ ভিকটিমের সাথে কারনে-অকারনে খারাপ আচরন করে এবং ভিকটিমের সমস্ত ছবি ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে দিবে বলে ব্লাকমেইল পূর্বক অর্থ দাবি করতে থাকে। সে বিভিন্ন সময় ভিকটিমের নিকট থেকে বিকাশের মাধ্যমে ২৭ হাজার টাকা আদায় করে। পরবর্তীতে মো: শাকিল আহম্মেদ ভিকটিমের মায়ের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে, সংগ্রহে থাকা ভিকটিমের ব্যক্তিগত ছবি প্রেরণ করে অর্থ দাবি করে। ঘটনার সত্যতার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার ২৭ জানুয়ারী রাতে বিয়ানীবাজার সুতারকান্দি এলাকায় অভিযান চালিয়ে র‌্যাব-৯, সদস্যরা প্রতারক মো: শাকিল আহম্মেদকে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, মো: শাকিল আহম্মেদ দীর্ঘদিন ধরে অনেকের সাথে একই ধরনের প্রতারণার আশ্রয় গ্রহণ করে ব্যক্তিগত ছবি সংগ্রহ পূর্বক ব্লাকমেইলের মাধ্যমে টাকা আদায় করে আসছে। তার অন্য কোন পেশা বা অর্থ উপার্জন করার ক্ষমতা না থাকায় সে এরূপ প্রতারণায় অর্থ উপজর্নের উপায় হিসেবে গ্রহণ করে। মো: শাকিল আহম্মেদ এর মোবাইল ফোনের ডাটা বিশ্লেষনে ঘটনার সত্যতার প্রমাণ পাওয়া যায়।
র‌্যাব আরো জানায়, মো: শাকিল আহম্মেদ বিরুদ্ধে কোতয়ালী মডেল থানায় দুটি মামলায় সে এজাহারে অভিযুক্ত এবং মামলা দুটি বর্তমানে সিলেট আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
মামলার পরবর্তী কার্যক্রমের স্বার্থে উদ্ধারকৃত আলামতসহ গ্রেফতারকৃত আসামীকে বিয়ানীবাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে র‌্যাব-৯’র মিডিয়া অফিসার এএসপি সোমেন মজুমদার জানিয়েছেন।