ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে সামিল হতে না পারলে আফসোস করতে হবে ——— এনাম উল ইসলাম

9

যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের ম্যানচেস্টার শাখার সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং আব্দুল মছব্বির সিটি ও স্যার এনাম উল ইসলাম ফাউন্ডেশন চেয়ারম্যান বিশিষ্ট সমাজসেবক, শিক্ষানুরাগী ও আর্ন্তজাতিক ব্যক্তিত্ব স্যার এনাম উল ইসলাম বলেছেন, যে কোন এলাকায় মসজিদ-মাদ্রাসা নির্মাণের উদ্যোগে নিলে সেটির উন্নয়ন কাজ কোন না কোনভাবে শেষ হয়। যারা মসজিদ-মাদ্রাসার উন্নয়নে সামিল থাকেন তাঁরা পরবর্তীতে তৃপ্তি অনুভব করেন। কিন্তু যারা সুযোগ থাকার পরও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে সামিল থাকেন না তাঁরা সুন্দর ভবন দেখে পরবর্তীতে আফসোস করেন। সেজন্য নিজ নিজ এলাকায় ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নির্মাণ কাজে সামর্থ অনুযায়ী সকলের সামিল থাকা উচিত।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার সকল ধর্মের মানুষকে সমানভাবে বিবেচনা করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে আমার নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি মসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থান, মন্দির ও শ্মশানে একাধিকবার অনুদান প্রদান করা হচ্ছে।
আমি জনসেবাকে ইবাদত মনে করে জনগণের জন্য কাজ করে যেতে চাই। এ সময় তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার পরিবারের জন্য দোয়া করতে সকল মুসল্লীদের প্রতি আহবান জানান।
তিনি সোমবার (২৯ নভেম্বর) ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার শরীফগঞ্জ জামিয়া মাদানিয়া তাহ্ফীযুল ক্বোরআন ফেঞ্চুগঞ্জ মাদরাসা ও এতিমখানার উদ্যোগে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
সাবেক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও প্রবীন মুরব্বী মাস্টার গোলাম সাইফুদ্দিন এবং মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা আব্দুল ওয়াহিদের পরিচালনায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তারা স্যার এনাম উল ইসলামকে মাদ্রাসা ভবন নির্মাণ, নগদ অর্থ প্রদান, এতিমদের জন্য মাসিক খরচ এবং মাদ্রাস বাবুর্চির জন্য ৬ সেট টিন প্রদান করায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন মাওলানা কামাল উদ্দিন জাফরী, শায়েখ আব্দুস শহিদ, মাওলানা সাইফুল ইসলাম, মাহফুজুর রহমান জাহাঙ্গীর, সাইফুল ইসলাম ছোটন, হোসাইন আহমদ মিজান, মাওলানা তাজ উদ্দিন, মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কোনআন তেলাওয়াত করেন হাফিজ সালমান আহমদ ও কেরাত পরিবেশন করেন আরিফ আহমদ। বিজ্ঞপ্তি