জিন্দাবাজারে ভোজনবাড়ি রেস্টুরেন্ট সিলগালার ঘটনায় চেম্বার সভাপতিসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা, ৩ জন কারাগারে

14

স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর জিন্দাবাজারে পচাবাসি খাবার পরিবেশন, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং ব্যবসা পরিচালনার লাইসেন্স না থাকার দায়ে ভোজনবাড়ি রেস্টুরেন্ট সিলগালার ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়ছে।
গত মঙ্গলবার র‌্যাবের ডিএডি পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় গ্রেফতারকৃত ৩ জন, সিলেট চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আবু তাহের মো. শোয়েব ও ভোজনবাড়ি রেস্টুরেন্টেরের ব্যবসায়ীক অংশীদার মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি সুজেল আহমদ তালুকদারসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে এ মামলাটি দায়ের করেন। পুলিশ মামলাটি নথিভুক্ত করেছে।
গতকাল বুধবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ। তিনি জানান, র‌্যাব ভোজনবাড়ি থেকে গ্রেফতারকৃত ২ জন ও অন্য আরেকজনসহ মোট ১৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। তাদের অভিযোগ মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত ৩ জনকে গতকাল আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে ভোজনবাড়ি রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার ও সুপারভাইজারকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় র‌্যাব। এই দুজনসহ মোট ৩ জনকে মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
গ্রেফতার দেখানো অভিযুক্তরা হচ্ছেন, ভোজনবাড়ি রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার ও বিশ্বনাথের অলংকারী গ্রামের মৃত সোনাফর আলীর পুত্র মো. তোরাব আলী, ওই রেস্টুরেন্টের সুপারভাইজার ও লামাবাজারের মৃত গিরিন্দ্র চন্দ্র পালের পুত্র সুভা চন্দ্র পাল এবং জগন্নাথপুরের সৈয়দপুর গ্রামের মৃত সৈয়দ আফরোজ আলীর পুত্র সৈয়দ মহদ্দিস আলী। গতকাল তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
এছাড়াও মামলায় আসামীরা হচ্ছেন, নগরীর শাহজালাল উপশহরের মৃত আব্দুল মুমিন চৌধুরীর পুত্র মো. ঝুনু চৌধুরী, সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার সাকিতপুর গ্রামের মৃত সাফর আহমদ চৌধুরীর পুত্র মো. লুৎফুর রহমান চৌধুরী, জিন্দাবাজার কাজী ইলিয়াছ এলাকার মৃত শামসুর রহমানের পুত্র সিলেট চেম্বারের সভাপতি এ টি এম শোয়েব, বিশ্বনাথ উপজেলার অলংকারী গ্রামের মৃত সৈয়দ মিয়ার পুত্র মো. লিলু মিয়া, জগন্নাথপুর উপজেলার সিলিমপুর গ্রামের আব্দুল মতিনের পুত্র মো. কবির আহমদ, নগরীর আখালিয়া এলাকার বাসিন্দা ছুফি মিয়ার পুত্র সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি মো. সুজেল আহমদ তালুকদার, নগরীর ওসমানী মেডিকেল এলাকার বাসিন্দা মৃত সুধির দেবের পুত্র শিপন দেব, লামাবাজার বিলপার এলাকার বাসিন্দা মৃত নলিনী কান্ত দেবের পুত্র এডভোকেট নিলেন্দু দেব, পশ্চিম সুবিদবাজার এলাকার বাসিন্দা ছাদিক মিয়ার পুত্র ইফতেখারুল আলম রুম্মান, নগরীর রায়নগর এলাকার বাসিন্দা শাহ বদরুদ্দোজা চৌধুরীর পুত্র শাহ কয়েছ চৌধুরী।