টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ॥ রোমাঞ্চকর জয়ে বিশ্বকাপ শুরু অস্ট্রেলিয়ার

2

স্পোর্টস ডেস্ক :
বোলিংয়ে জশ হ্যাজলউড অ্যাডাম জাম্পার তোপে দক্ষিণ আফ্রিকাকে অল্পতে থামিয়ে রাখলেও জবাবে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে অজি ব্যাটসম্যানরা। রাবাদা-শামসির তোপ কাটিয়ে মাঝে ম্যাক্সওয়েল-স্মিথের জুটি অজিদের জয়ের পথে এগিয়ে দেয়। কিন্তু পরে দুজনকেই ফিরিয়ে আবারও ম্যাচের হাল ধরেন প্রোটিয়ারা। তবে শেষের দিকে দারুণ এক জুটিতে রোমাঞ্চকর জয় উপহার দেয় ম্যাথু ওয়েড-মার্ক স্টয়নিস।
এদিন দুবাইয়ে টস হেরে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে প্রোটিয়ারা। জশ হ্যাজলউড অ্যাডাম জাম্পাদের বোলিং তোপে অল্পতেই থামল প্রোটিয়াদের ইনিংস। ব্যাট হাতে প্রোটিয়াদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন এইডেন মার্করাম। বোলিংয়ে ১৯ রান খরচায় দুটি উইকেট তুলে নেন হ্যাজলউড। দুটি করে উইকেট পান অ্যাডাম জাম্পা ও মিচেল স্টার্ক।
প্রথম ওভারে দুটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দারুণ শুরুর আভাস দিয়েছিলেন টেন্ডা বাভুমা। কিন্তু প্রোটিয়া অধিনায়ককে ফিরতে হয় পরের ওভারেই। ১৩ রানে প্রথম উইকেট হারানো প্রোটিয়া শিবিরে পরের ধাক্কাটি দেয় জশ হ্যাজলউড। অজি পেসারের তোপে পরের ১০ রান যোগ করতেই হারিয়ে বসে ২ উইকেট।
অজিদের হয়ে নিজের প্রথম ওভারেই প্রোটিয়া অধিনায়ককে ফিরিয়ে দেন ম্যাক্সওয়েল। তার নিচু হয়ে আসা বলের লাইন মিস করে সরাসরি বোল্ড হয়ে যান বাভুমা। পরে ২.৪ ওভারে মাত্র ৫ রান দিয়ে তুলে নেন ২ উইকেট। কুইন্টন ডি কক (৭) ও ভান ডার দ্য ডুসেন (২)। চতুর্থ উইকেট হিসেবে প্যাট কামিন্সের বলে স্মিথকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন ক্লাসেন (১৩)। ডেভিড মিলারকে (১৬) ফেরায় অ্যাডাম জাম্পা। শেষের দিকে কাগিসো রাবাদার ধীরগতির ২৩ বলে ১৯ রানে ১১৯ রানের ছোট লক্ষ্য পায় অস্ট্রেলিয়া।
জবাবে শুরু থেকেই রাবাদা-নর্তজের দুর্দান্ত লাইন লেন্থে খাবি খায় অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটাররা। ছোট টার্গেটে নেমেও অস্ট্রেলিয়ার জন্য দারুণ উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ম্যাচটি। তবে শেষে দুই বল ও পাঁচ উইকেট হাতে রেখে রোমাঞ্চকর জয় তুলে নেন অজিরা। ম্যাচ সেরা হন অস্ট্রেলিয়ান পেসার জশ হ্যাজলউড।
এদিন ২০ রানেই অ্যারন ফিঞ্চ (০) ও ডেভিড ওয়ার্নার ফিরে যান। ব্যাট হাতে ফর্মহীন ওয়ার্নার করেন ১৫ বলে ১৪ রান। পরে ১৭ বলে ১১ রান করে মহারাজের শিকার হন মিচেল মার্শ। এরপর দলের বিপর্যয়ে ৪২ রানের জুটি গড়েন স্মিথ-ম্যাক্সওয়েল। ব্যাক্তিগত ৩৪ বলে ৩৫ রান করে মার্করামের দুর্দান্ত ক্যাচে ফিরেন স্মিথ। পরের বলেই ম্যাক্সওয়েলকে (১৮) শিকার বানান তাবরিজ শামসি।