জগন্নাথপুরে আলোচনা সভায় বক্তারা ॥ বাংলাদেশের জন্য বঙ্গবন্ধু পরিবারের বলিদান পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল

5

মো. শাহজাহান মিয়া জগন্নাথপুর থেকে :
একটি স্বাধীন দেশ ও জাতির জন্য এতো বড় বলিদান বা আত্মত্যাগ পৃথীবির ইতিাসে বিরল। যা বাংলাদেশে ঘটেছে। সেই বলিদান বা আত্মত্যাগ দিয়েছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু পরিবার। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্টের কলঙ্কজনক অধ্যায়। বিপথগামী পরাজিত শত্রুরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর অবুঝ শিশু শেখ রাসেল সহ সপরিবারে নির্মম ভাবে হত্যা করেছিল। এ সময় অবুঝ শিশু শেখ রাসেল বারবার বলেছিলেন আমি মায়ের কাছে যাবো। তাঁর সেই ভয়ার্ত করুণ আর্তনাতে পাষন্ড জালিমদের হৃদয় গলেনি। তবে আজও দেশের সাধারণ মানুষ শেখ রাসেল এর জন্য কাঁদেন। তখন দেশে না থাকায় ভাগ্যক্রমে বেঁচে গিয়েছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর বোন শেখ রেহানা সহ অন্যরা।
এদিকে-আপনজনদের হারানোর বেদনাকে বুকে চাপা দিয়ে দেশের মানুষকে আপন করে নিয়ে এখনো দেশ পরিচালনা করছেন শেখ হাসিনা। তাই আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে সেই সকল কুলাঙ্গার নরপশু খুনিদের দেশের মাটিতে প্রকাশ্যে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের দাবি দেশ স্বাধীনের ৫০ বছর পরও জোরালো হয়ে উঠেছে। সেই সাথে বঙ্গবন্ধু পরিবারের বলিদানকে বুকে লালন করে ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে আগামী প্রজন্মকে দেশ ও জাতির কল্যাণে আত্মনিয়োগ করতে হবে।
সেই আনন্দ-বেদনাকে সামনে রেখে জগন্নাথপুরে শেখ রাসেল এর ৫৮ তম জন্মদিন পালন করা হয়েছে। ১৮ অক্টোবর রোববার শেখ রাসেল এর জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষে জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ ও প্রশাসন সহ বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে শেখ রাসেল এর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ, আলোচনাসভা, দোয়া মাহফিল সহ দিন ব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়।
জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আকমল হোসেনের সভাপতিত্বে ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-প্রচার সম্পাদক ফিরোজ আলীর পরিচালনায় দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পাটলি ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল হক, সহ-সভাপতি আবদুল কাইয়ূম মশাহিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক বদরুল ইসলাম, জয়দ্বীপ সূত্রধর বীরেন্দ্র, সহ-দপ্তর সম্পাদক মাসুম আহমদ, উপজেলা শ্রমিক লীগের আহবায়ক নুরুল হক, আশারকান্দি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আইয়ূব খান, পাটলি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আংগুর মিয়া, পাইলগাঁও ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি আপ্তাব উদ্দিন, কলকলিয়া ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি ফখরুল হোসেন, রাণীগঞ্জ ইউনিয়ন আ’লীগের সাবেক সভাপতি হাজী সুন্দর আলী, পাইলগাঁও ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী আবদুল তাহিদ, আ’লীগ নেতা কলমধর আলী, পৌর আ’লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুল হাই, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম রিপন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মোতাহির আলী, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও জগন্নাথপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র সাফরোজ ইসলাম মুন্না, পৌর যুবলীগ নেতা আকমল হোসেন ভূইয়া, সৈয়দ জিতু মিয়া, রাজিব চৌধুরী বাবু, উপজেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কল্যাণ কান্তি রায় সানি, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা আবদুল মুকিত, পৌর ছাত্রলীগের আহবায়ক মিছবাহ আহমদ, যুগ্ম-আহবায়ক কামরান আহমদ, কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি হাসান আদিল, সহ-সভাপতি মতিউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক তাহা আহমদ প্রমুখ।