ছাতকে পৌর-মেয়র ও কাউন্সিলরের মধ্যে পাল্টাপাল্টি মামলা

14

আতিকুর রহমান মাহমুদ ছাতক থেকে :
ছাতক পৌরসভা মহিলা কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়েরের পর পাল্টা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে পৌর মেয়র আবুল কালাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে। মহিলা কাউন্সিলর তাসলিমা জান্নাত কাকলী যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে মঙ্গলবার সুনামগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন ট্র্যাবুনালে তিনি এই অভিযোগটি দায়ের করেন। পাল্টাপাল্টি অভিযোগের প্রেক্ষিতে আলোচনা- সমালোচনার ঝড় বইছে ছাতকে।
জানা যায়, শুক্রবার (২৭ আগষ্ট) পৌরসভা কার্যালয়ে হামলা, ভাংচুর ও অসৌজন্যমূলক আচরণের ঘটনায় কাউন্সিলর তাসলিমা জান্নাত কাকলীকে প্রধান আসামী করে দ্রুত বিচার আইনে ছাতক থানায় একটি মামলা (নং-২৮) দায়ের করেন পৌরসভার অফিস সহায়ক দ্বীপ্ত বণিক। এ মামলায় আসামী করা হয়েছে কাকলীর স্বামী মাছুম আহমদ, ভাই নোমান ইমদাদ কানন ও কার্জন মিয়াকে।
এছাড়া ২৫জনকে করা হয়েছে অজ্ঞাতনামা আসামী।
এদিকে, মহিলা কাউন্সিলর কাকলীর বিরুদ্ধে থানায় দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়েরের চারদিন পর (৩১ আগষ্ট) সুনামগঞ্জে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল আদালতে ছাতক পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগটি দায়ের করেন, পৌরসভার সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর তাসলিমা জান্নাত কাকলী। এবিষয়ে কাউন্সিলর কাকলী জানান, থানায় অভিযোগ গ্রহণ না করায় তিনি আদালতে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
পৌরসভা কার্যালয় সূত্রে জানা যা, গত ২২ আগষ্ট দুপুরে মেয়রের কক্ষে উপস্থিত হন পৌরসভায় বাগবাড়ি এলাকার স্ট্যান্ডের ম্যানেজার ওয়াতিকুল, নুর হোসেন ও বিরাম আলী। এ সময় বিচার প্রার্থীরা অবৈধ মাসিক চাঁদা আদায়ের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেন মহিলা কাউন্সিলর তাসলিমা জান্নাত কাকলী ও তার স্বামীসহ তার দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত কাউন্সিলর কাকলী এসময় উপস্থিত হন এবং বহিরাগতদের নিয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অফিস তছনছ করেন তার সহযোগীরা। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে পরিষদের কাউন্সিলর ও কর্মকর্তা কর্মচারিদের সাথে এক বৈঠক করে সর্ব সম্মতিক্রমে পৌর কাউন্সিলর তাসলিমা জান্নাত কাকলীসহ তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত হয়। পরবর্তীতে থানায় দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করা হয়।
এ ব্যাপারে ছাতক পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম চৌধুরী বলেন, পৌরসভায় হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়। এ সত্য ঘটনাটিকে আড়াল করতেই আমার বিরুদ্ধে আদালতে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মো. নাজিম উদ্দিন থানায় দায়ের করা মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তদন্তপূর্বক আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মেয়রের বিরুদ্ধে আদালতে দায়েরী মামলার বিষয়টি তিনি শুনেছেন বলে জানান।