চলছে গণপরিবহন, ভাড়া বেশী, নেই স্বাস্থ্যবিধি

6

স্টাফ রিপোর্টার :
কঠোর লকডাউনের ১০ম দিনে গতকাল রবিবার থেকে চলছে গণপরিবহন। রপ্তানিমুখী শিল্পের শ্রমিক ও সংশ্লিষ্টদের কাজে যোগদানের সুবিধার্থে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সারাদেশে গণপরিবহন চলবে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে দক্ষিণ সুরমা কদমতলী টার্মিনাল থেকে সিলেট-ঢাকা,সিলেট-হবিগঞ্জসহ সিলেটের আঞ্চলিক সড়কে শুরু হয়েছে বাস চলাচল। তবে সেই সব বাসে শিল্প কারখানের শ্রমিকের চাইতে সাধারণ যাত্রী বেশি।
রবিবার দুপুরে কদমতলী ও হুমায়ুন রশিদ চত্বরে গিয়ে দেখা যায়, সিলেট থেকে ছেড়ে যাচ্ছে দূরপাল্লার বাস। একসিটে একজন যাত্রী বসার কথা থাকলেও বসছেন দুজন করে। যাত্রীদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে গাদাগাদি করে বাসে তোলা হয় যাত্রী। অনেক বাসে ভেতরে যাত্রীদেরকে দাঁড়িয়ে যেতেও দেখা যায়। কিন্তু ভাড়া ঠিকই ৬০ শতাংশ বেশি আদায় করা হয়।
সিলেট থেকে বিশ্বনাথ যাওয়ার জন্য বাসে উঠেছিলেন মিদুল আহমদ। কিছু সময় বাসে বসে থেকে দেখলেন গাড়িতে প্রতিটি সিটে যাত্রী দুজনকরে বসানো হচ্ছে। তখন হেলপারের কাছে ভাড়া জানতে চাইলে বলেন ডাবল ভাড়া হবে। বাকবিন্ডতা শুরু হয়ে গাড়ি থেকে নেমে পড়েন মিদুল আহমদ। তিনি বলেন, ২৫ টাকার ভাড়ায় ৫০-৬০টাকা নিচ্ছে তার মধ্যে যাত্রী ঠিক ২ জন করে নিচ্ছেন।
তবে চালকরা বলছেন, তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে গাড়ি চলাচল করছে এবং যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত কোনো ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না।
ভাড়া দ্বিগুনের বিষয়ে খায়রুল ইসলাম নামের এক চালক বলেন, প্রায় ২ সপ্তাহ ধরে আমরা গাড়ি চালাতে পারছি না। এখন মাত্র কয়েক ঘন্টার জন্য সুযোগ পেয়েছি। আমাদেরও তো পেট চালাতে হবে।
সিলেট জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ময়নুল ইসলাম বলেন, রাত খবর আসে গতকাল দুপুর ১২টা পর্যন্ত গণপরিবহন চলাচল করছে। এখানে বলা হয়নি যে আঞ্চলিক গাড়ি চলতে পারবে না। গণপরিবহন মানে সবগাড়ি চলবে। তবে আমাদের গাড়ি বেশি বের হয়নি। গুটি কয়েকটি গাড়ি বের হয়েছে। ১২টার সময় সেগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়।