বাজেয়াপ্ত অভিপ্রায়

7

মেশকাতুন নাহার :

আমি কি বলেছি কেউ আমাকে প্রণয়ে করো আবদ্ধ?
বলিনি তো কিছু স্মৃতি দাও নিদর্শন সমৃদ্ধ।
বলিনি কিছু মন ছোঁয়া স্বপ্ন দাও উপহার,
বলিনি চলো না দুজনে করবো নৌবিহার।

আমি কি বলেছি যুগল বন্দী হয়ে যাবো ঐ পদ্মা সেতুর পার,
তরতাজা ইলিশ ভাজা আর ভর্তা দিয়ে করবো আহার।
প্রবাহিণীর তরঙ্গ বিস্মিত হয়ে দেখবো বসে শান্ত,
কোলাহল মুক্ত বাতাবরণে মোহিত হবো দেখে গোধূলির সূর্যাস্ত।

বলিনি এসো না আজ সিনেপ্লেক্সে দেখবো চলচ্চিত্র,
হৈ হুল্লোড় সব কাণ্ড ঘটিয়ে দিনটা করবো বিচিত্র।
রাস্তার মোড়ে টক ঝালের ফুচকা খেয়ে জিভে লাগবে আগুন,
অহোরাত্র মনের প্রদেশে দিবে কি এঁকে নন্দিত এক ফাগুন।

বলিনি তো নিয়ে চলো সেথায় যেখানে জলের রাশি রাশি বালুকণার বিস্তীর্ণ স্তর,
প্রমত্ত উত্তুঙ্গ বেলোর্মিতে ফেলবো তীব্র ঔৎসুক্যের নোঙর।
গগনের নীল আর সিন্ধুর নীলের সমন্বয়ে বৈচিত্র্যময় এক প্রবাল দ্বীপ,
বলতে গিয়েও দোদুল্যমান ইতস্তত মন নির্বাপণ করেছি ইচ্ছার প্রদীপ।

বাজেয়াপ্ত অভিপ্রায় অনুচ্চারিত ভাবাবেগ কল্পজগতে শূন্যে ঘুরেফিরে,
শুধু চেয়েছিল বিশ্বস্ততার বাহুডোরে নিবন্ধিত হতে, হোক না তা জীর্ণ কুটিরে।
উদীরিত কণ্ঠস্বর যেন অভিন্ন থাকে প্রভাতে কিংবা তিমিরে।
চেয়েছিল কেবল হৃদ মন্দিরে তাঁরই অভিধান লিখবো স্বর্ণাক্ষরে।