অভিমান করে বেরিয়ে যাবার ৪০ বছর পর বাড়ি ফিরতে ব্যাকুল চাঁদপুরের সেলিম মিয়া

7

গোয়াইনঘাট থেকে সংবাদদাতা :
অভিমান করে আজ থেকে ৪০ বছর আগে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়া সেলিম মিয়া আজ বয়সের ভারে ন্যুব্জ। মেট্রিক পাস করা (বর্তমান এসএসসি) সেলিম মিয়া ১৮-২০ বছর বয়সের টগবগে যুবক ছিলেন তখন। পারিবারিক কলহে নিজের চাপা কষ্ট, ক্ষোভ আর অভিমানে কাউকে কিছু না বলে চাঁদপুর ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন সিলেটে।
সেই সেলিম মিয়া এখন ষাটোর্ধ্ব বয়সের বৃদ্ধ। মহামারি করোনায় শত শত মৃত্যুর মিছিল দেখে আর বাঁচার আশা দেখছেন না তিনি। শারীরিক অসুস্থতায় বিছানায় পড়ে আছেন দীর্ঘদিন। নাওয়া নেই, খাওয়া নেই, সিলেটের জাফলংয়ের বাসায় মৃত্যুর প্রহর গুণছেন চাঁদপুরের এই অভিমানি মানুষটি। তবে মৃত্যুর আগে তার শেষ ইচ্ছা চাঁদপুরের নিজ পরিবারকে একটি বার দেখার। বাবা-মা বা ভাই-বোন যারাই বেঁচে আছেন তাদের সাথে একটু কথা বলা। নিজের জন্মস্থান শৈশবের বাড়িটি একটু খানি দেখা।
মোঃ সেলিম মিয়া ১৯৮০ বা ৮১ সালে চাঁদপুর ফরাক্কাবাদ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মেট্রিক (এসএসসি) পাস করেন। তার তৎকালীন সহপাঠীরা তাকে দেখেই চেনার কথা। সেলিম মিয়ার বাবা মৃত মোঃ আলকাছ আলী, দাদা মৃত শামছুল হক পাটওয়ারী, চাচা আব্দুর রাজ্জাক।
৫ ভাই বোনের মধ্যে সেলিমই সবার ছোট। বড় তিন ভাইয়ের নাম আব্দুল করিম, আব্দুর রহিম ও বিল্লাল (হতে পারে)। মায়ের নাম আর বড় বোনের নাম বলতে পারছেন না। তবে দু’জনের যে কোন একজনের নাম নাসিমা।
বিছানায় শয্যাশায়ী সেলিম মিয়া নিজের পোস্ট অফিস ফরাক্কাবাদ বলতে পারলেও গ্রামের নাম ঠিক করে বলতে পারছেন না। তবে, নিজ থানা ও জেলা দুটোই চাঁদপুর জানালেও গ্রামের নাম গুরিশা অথবা গুলিশা হতে পারে বলে জানান।
পরিবারের আর কোন স্মৃতি মনে আছে কি-না জানতে চাইলে সেলিম মিয়া বলেন, বড় বোনের বাড়ি দাস পাড়ায় হতে পারে। কোন এক ভাই ইনকাম টেক্স অফিসে চাকরি করতেন। আর কিছু জানা নেই।
৪০ বছরের ব্যবধানে ও সম্প্রতি স্ট্রোক করায় ভুলে গেছেন অনেক কিছুই। এখন মৃত্যুর আগে সেলিম মিয়া সিলেটের জাফলং থেকে তার পরিবারের কাছে ফিরতে চান। প্রিয়জনদের এক নজড় দেখতে চান।
সেলিম মিয়ার পরিবারের সন্ধান চেয়ে চাঁদপুরবাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সিলেটের গোয়াইনঘাট প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক কাজির বাজার পত্রিকার প্রতিনিধি মোঃ করিম মাহমুদ লিমন। তার পরিবারের সন্ধান পেলে (০১৭১২-৩১৭০৪৬) যোগাযোগের অনুরোধ করেন তিনি।