দারিদ্র্যমুক্ত দেশ হোক

16

মুজিববর্ষে ভূূমিহীন-গৃহহীন সব অসহায় মানুষকে নতুন ঘর উপহার দেয়ার যে প্রতিশ্রুতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিয়েছেন, তার আওতায় আরও সাড়ে ৫৩ হাজার পরিবার নতুন ঘর পেতে যাচ্ছেন। একসঙ্গে এত মানুষকে বিনামূল্যে জমি ও গৃহ প্রদানের ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম এবং মানবিক এ উদ্যোগ সারাবিশ্বের কাছে দারিদ্র্য বিমোচনে সক্ষমতা প্রমাণের একটি নজিরবিহীন ঘটনা।
আমরা বর্তমান সরকারের সমধর্মী আরও মানবিক উদ্যোগের কথা স্মরণ করতে পারি। নদীভাঙ্গন, ঝড়-বাদল-জলোচ্ছ্বাস এ দেশের মানুষের জীবনের নিত্যসঙ্গী। প্রকৃতির খেয়াল ও বিরূপ আচরণের সঙ্গে নদীসংলগ্ন ও উপকূলবাসীদের জীবন যেন ওতপ্রোতভাবে সম্পৃক্ত। সহাবস্থান ও সংগ্রাম কাকে বলে সেটি বেশ ভালই জানে এসব লড়াকু পরিশ্রমী মানুষ। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে গত কয়েক দশক ধরে দেশের মানুষ নতুন করে দুর্ভোগ ও বিপন্নতার শিকার হয়ে চলেছে। উন্নত দেশগুলোর অপরিণামদর্শী আচরণের জন্য প্রকৃতির যে চিরকালীন ক্ষতিসাধন হয়ে চলেছে, তার ভোগান্তির শিকার যে কয়টি দেশের মানুষ তার ভেতর বাংলাদেশ একেবারে শীর্ষে। বর্তমান জনকল্যাণকামী সরকারকে বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে মানুষ বাঁচাতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে। তারই একটি সাম্প্রতিক উদাহরণ জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য কক্সবাজার সদরের খুরুশকুলে বিশ্বের সর্ববৃহৎ আশ্রয়ণ প্রকল্প নির্মাণ।

বাংলার মানুষ হৃদয়ের গভীরে এই সত্যকে ধারণ করে আছে যে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব দেশের জন্য, জাতির জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করে গেছেন। তাঁর সুযোগ্য কন্যা পিতার কাছ থেকে সেই শিক্ষাটিই পেয়েছেন। তাই তাঁর সকল ভাবনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে দেশের উন্নয়ন ও মানুষের কল্যাণ। যে কোন অবস্থা মোকাবেলা করা, প্রতিকূল অবস্থা মোকাবেলা করে চলা আর সৎপথে থেকে দেশ ও জাতির কল্যাণ করাÑ এ আদর্শ তিনি পেয়েছেন জাতির পিতার কাছ থেকেই। তাঁরই আদর্শ শিরোধার্য করে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার ব্রতটিই পালন করে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশ হবে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত একটি দেশ। সেই স্বপ্ন পূরণে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। দেশের একটি মানুষও যেন গৃহহীন না থাকে, সেই সুন্দর সদিচ্ছা বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম যে ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে তা বলাই বাহুল্য।