আইনজীবী আনোয়ার হোসেনের লাশ কবর থেকে উত্তোলন

5

স্টাফ রিপোর্টার :
সদর উপজেলার শিবেরবাজারের দীঘিরপার গ্রামের পারিবারিক কবরস্থান থেকে এডভোকেট আনোয়ার হোসেনের লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আদালতের নির্দেশে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেজবাহ উদ্দিনের উপস্থিতিতে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়। এরপর অ্যাম্বুলেন্স যোগে আনোয়ার হোসেনের লাশ ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেজবাহ উদ্দিন। তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশে এডভোকেট আনোয়ার হোসেনের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। এরপর ময়না তদন্তের জন্য তার লাশ সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের পর তার লাশ পুনরায় মাটি দেয়া হবে।
জানা যায়, নিহত আনোয়ার হোসেন দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে বাস করতেন। গত ৩০ এপ্রিল বিকেল ৩টায় নিহত আনোয়ারের স্ত্রী শিপা বেগম স্বজনদের ফোন করে তার স্বামীর মৃত্যুর খবর জানান। শিপা তখন বলেছিলেন, ডায়াবেটিস নীল হয়ে গিয়ে তার স্বামী মারা গেছেন। শিপার কথা বিশ্বাস করে স্বজনরা মৃত্যু নিয়ে কোনো সন্দেহ না করে আনোয়ার হোসেনের লাশ গ্রামের বাড়িতে সমাহিত করেন। খটকা লাগে আনোয়ারের মৃত্যুর এক মাস না যেতেই তার স্ত্রীর বিয়ের খবরে। শিপা বেগমের বাড়ি গোলাপগঞ্জ উপজেলার রণকেলী গ্রামে। স্বামীর মৃত্যুর ১০ দিনের মাথায় তিনি সিলেট জেলা ছাত্রদলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান চৌধুরী মাহি নামে এক যুবককে বিয়ে করেন। কানাইঘাটের ঝিঙ্গাবাড়ির উপরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মাহিকে দীর্ঘদিন ধরেই ভালোবাসতেন। বিয়ের পর শিপা জানান, তাদের আগে থেকেই প্রেমের সম্পর্ক ছিল, তাই দুজনে বিয়ে করেছেন। প্রথম স্বামীর মৃত্যুর পর আনোয়ার হোসেনের রেখে যাওয়া বাসাতেই নতুন স্বামীকে নিয়ে বসবাস করছিলেন শিপা।
ভাইয়ের মৃত্যুর ১০ দিন পর ভাবির বিয়ে নিয়ে সন্দেহ হলে খোঁজখবর নেন আনোয়ার হোসেনের ভাই মনোয়ার হোসেন। পরবর্তীতে তিনি মামলা করেন। পরে গ্রেফতার করা হয় শিপাকে। গ্রেফতারের পর শিপাকে রিমান্ডে নিলে তিনি পুলিশের কাছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেন। স্বামীকে ১০টি ঘুমের ওষুধ খাইয়ে হত্যা করা হয় বলে তিনি আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।