দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের ২২৫ স্থাপনার উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আসন্ন ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহবান

11
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন, নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর, গাইবান্ধা জেলার সাদুল্যাপুর ও বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলা প্রান্তে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে ১১০টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র, ৩০টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র, ৩০টি জেলা ত্রাণ গুদাম-কাম-দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তথ্যকেন্দ্র ও ৫টি মুজিব কিল্লার উদ্বোধন এবং ৫০টি মুজিব কিল্লার ভিত্তিরপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

কাজিরবাজার ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবেলা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে বলেছেন, জনগণের কল্যাণ করাই আওয়ামী লীগের রাজনীতি। সরকার কিংবা বিরোধী দল যেখানেই থাকি না কেন, যখনই দেশে কোন দুর্যোগ হয়েছে, তখনই জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে আওয়ামী লীগ। প্রাকৃতিক, মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগসহ সকল দুর্যোগ মোকাবেলা করেই আমাদের এগিয়ে যেতে হচ্ছে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। দেশের মানুষ বিশ্বের বুকে সম্মান নিয়ে মাথা উঁচু করে চলবে। বঙ্গবন্ধুর ভাষায় বলতে চাই- এদেশের মানুষকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারেনি, পারবেও না।
দেশে আরেকটি ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আশঙ্কার কথা তুলে ধরে সবাইকে সচেতন ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আসন্ন ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে আমরা সবাইকে সতর্ক করছি। আরেকটি ঘূর্ণিঝড় কিন্তু আসছে। সেটা কেবল তৈরি হচ্ছে। এখন আধুনিক প্রযুক্তির কারণে আমরা অনেক আগে থেকেই জানতে পারি। আর সেই বিষয়ে সতর্কতা আমরা নিতে শুরু করেছি। ইনশাআল্লাহ আমরা সতর্ক থাকব, এই ঝুঁকি হ্রাস করতে পারব। আর বিশ্ব এখন বাংলাদেশকে দুর্যোগ মোকাবেলার একটা দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখে। বাংলাদেশের জন্য, বাংলাদেশের জনগণের জন্য এটা অত্যন্ত সম্মানজনক বলে আমরা মনে করি।
রবিবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ২২৫টি স্থাপনার উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনের মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী। মুজিববর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী দেশের উপকূলীয় জেলাগুলোতে ১১০টি বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র, ৩০টি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র, ৩০টি জেলা ত্রাণ গুদাম-কাম-দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তথ্য কেন্দ্র ও পাঁচটি মুজিব কিল্লার উদ্বোধন করেন। একইসঙ্গে তিনি ৫০টি মুজিব কিল্লার ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করেন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডাঃ এনামুর রহমানের সভাপতিত্বে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোহসীন স্বাগত বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে দেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ওপর একটি ভিডিও চিত্রও প্রদর্শিত হয়। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নোয়াখালীর সুবর্ণচর, বরিশালের উজিরপুর এবং গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার উপকারভোগীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
আওয়ামী লীগ মানুষের জন্য রাজনীতি করে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে কেবল মানুষের কল্যাণেই কাজ করেছে। আজকে ১২ বছরে ক্ষমতায় আমরা বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করতে সক্ষম হয়েছি, যে প্রতিশ্রুতি ২০০৮ সালের নির্বাচনে আমরা করেছিলাম। তিনি বলেন, শিক্ষা-দীক্ষা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, অবকাঠামো উন্নয়ন, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। ভূমিহীনদের মাঝে খাসজমি বিতরণ এবং আমরা ঘর তৈরি করে দিচ্ছি, যাতে একটি মানুষও আর গৃহহীন না থাকে, যেটা জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল, সেটা আমরা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। একটি সেমি পাকা ঘর বা এখন দুর্যোগ মোকাবেলায় সহনশীল ঘর আমরা করে দিচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় বলেন, সবাইকে মনে রাখতে হবে এটা ব-দ্বীপ। ভৌগলিক অবস্থানের কারণে আমাদের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করতে হবে। তাছাড়া বাংলাদেশে মাঝে মাঝে মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগও আসে। সব মোকাবেলা করেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি এবং আমরা এগিয়ে যাব। তিনি বলেন, আমাদের দুর্যোগ মোকাবেলার যে সক্ষমতা সে সক্ষমতা আজকে সারাবিশ্বে সমাদৃত। যে কারণে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে গ্লোবাল এডাপটেশন সেন্টারের কার্যালয় বাংলাদেশে স্থাপন করা হয়েছে। আমাদের এত ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও একটা ছোট ভৌগলিক সীমারেখায় বিশাল জনগোষ্ঠী নিয়েও প্রতিনিয়ত প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করেও আমরা মানুষের জীবন রক্ষা করতে পারছি।
মানুষকে সুরক্ষা প্রদানে সম্ভাব্য সবকিছুই সরকার করছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্যোগ ঝুঁকি প্রশমনে প্রযুক্তির ব্যবহার জানমালের ক্ষতি অনেকাংশে হ্রাস করলেও জনগণকে আরও বেশি সচেতন হতে হবে। আর একটা ঘুর্ণিঝড় কিন্তু আসছে। আমরা আধুনিক প্রযুক্তির কারণে অনেক আগে থেকেই জানতে পারি। আর এসব বিষয়ে যথেষ্ট সতর্কতা আমরা ইতোমধ্যে নিতে শুরু করেছি। ইনশাআল্লাহ আমরা সতর্ক থাকব এবং ঝুঁকি হ্রাস করতে পারব।
তিনি বলেন, সরকার নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় সর্বান্তকরণে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কেননা, সম্পদ চলে গেলে সম্পদ পাওয়া যায়, কিন্তু জীবন চলে গেলে আর পাওয়া যায় না। এজন্য জনসচেতনতা বেশি প্রয়োজন। ঘুর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, বন্যা, টর্নেডো, বজ্রপাত, ভূমিধস অথবা ভূমিকম্প, অগ্নিকান্ড সবকিছুতেই মানুষকে রক্ষা করা বা সুরক্ষিত রাখার জন্য যা যা করণীয় সে ব্যবস্থাগুলো আমরা করে যাচ্ছি।
সরকারপ্রধান বলেন, সঠিক দিক-নির্দেশনা, সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও আদর্শ নিয়ে চললে বাংলাদেশের মানুষকে কেউ কখনও দাবিয়ে রাখতে পারবে না এটা আমরা বিশ্বাস করি। সেভাবেই দেশকে গড়ার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। এ প্রসঙ্গে তিনি করোনাভাইরাস সম্পর্কে সকলকে পুনরায় সতর্ক করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান পূনর্ব্যক্ত করে বলেন, সকলে মিলে এই দুর্যোগকেও আমরা প্রতিহত করতে সক্ষম হব ইনশাআল্লাহ।
দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নিজের কাজ নিজে করা, বিশেষ করে যুবসমাজ যাতে নিজেরাই নিজেদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারে তার ওপর জোর দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমাদের দুর্যোগ মোকবেলায় যে সক্ষমতা তা আজকে সারাবিশ্বে সমাদৃত। এতে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের ভাবমূূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে এবং সারাবিশ্ব এখন বাংলাদেশকে দুর্যোগ মোকাবেলায় একটা দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখে। যেটা বাংলাদেশ এবং এর জনগণের জন্য অত্যন্ত সম্মানজনক।
দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে তাঁর সরকার নির্মিত বিভিন্ন স্থাপনা এবং অবকাঠামোর কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যেই ২৩০টি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র, ৩২০টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। তাছাড়া, ১৬টি জেলার ৮২টি উপজেলার ২২০টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র, ২৬৭টি উপজেলা ৪২৩টি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলমান আছে। ৬৩টি জেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কাম তথ্য কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, দুর্যোগকালীন মানুষের কাছে খাদ্য সাহায্য দ্রুত যাতে পৌঁছানো যায় তার জন্য সরকার পরিকল্পনা করে এই উদ্যোগ নিয়েছে। এছাড়া প্রতিটি উপজেলায় সরকার ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নির্মাণ করে দিচ্ছে যাতে যেকোন দুর্যোগে দমকল কর্মীরা দ্রুত সেখানে পৌঁছে ব্যবস্থা নিতে পারে। সরকার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় ভলান্টিয়ারের সংখ্যা বৃদ্ধি করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সব থেকে আশার কথা ভলান্টিয়ারদের অর্ধেকই নারী এবং এটাই সব থেকে আনন্দের কথা নারী-পুরুষ সকলে মিলেই আজকে দেশের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারের হাতে হাতে মোবাইল ফোন পৌঁছে দেয়া, ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত ইন্টারনেট সেবা বিস্তৃত করা এবং বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট মহাকাশে উৎক্ষেপণ সার্বিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় গতির সঞ্চার করেছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় দেশের সকলে একযোগে কাজ করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, কোস্টগার্ড, আনসার ভিডিপি থেকে শুরু করে প্রশাসন এবং অন্যান্য সকলে ও বিভিন্ন ভলান্টিয়ার অর্গানাইজেশনগুলো যারা দুর্যোগ সম্পর্কে নানা সচেতনতা সৃষ্টি করা থেকে শুরু করে ত্রাণ তৎপরতা সকল কাজেই অংশগ্রহণ করে।
শেখ হাসিনা বলেন, দুর্যোগ দুর্বিপাকে মানুষের জন্যই মানুষ। মানুষের পাশেই মানুষ থাকবে- সেই চিন্তা থেকেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। বাংলাদেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। ইতোমধ্যেই আমরা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও পুনর্বাসনে ২ হাজার ২৭৫ কোটি টাকার প্রকল্প নিয়েছি অগ্নিনির্বাপন, ভূমিকম্প বা ভূমিধস হলে সেখান থেকে মানুষকে রক্ষা করা এবং তাদের উদ্ধার কাজ কিভাবে পরিচালনা করা যায় সে ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে। এখানে আমাদের ফায়ার সার্ভিস এবং সশস্ত্রবাহিনী বিভাগ মিলিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
ইতোমধ্যেই জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা ২০২১ থেকে ২০২৫ প্রণীত হয়েছে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশ একটা ব-দ্বীপ, কাজেই এই ব-দ্বীপ অঞ্চলটাকে সুরক্ষিত করে আমাদের মানুষের জীবনযাত্রাটা যাতে সুরক্ষিত হয় এবং সেটা আজকের জন্য নয় আগামী প্রজন্মের জন্য শতবর্ষের একটা পরিকল্পনা অর্থাৎ ২১০০ সালের বাংলাদেশ কেমন হবে, কিভাবে নিরাপদ হবে, মানুষের জীবনযাত্রা কিভাবে উন্নত হবে সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমরা প্রেক্ষিত পরিকল্পনা বা ডেল্টা প্ল্যান প্রণয়ন করেছি।
প্রধানমন্ত্রী ডেল্টা প্ল্যান প্রণয়নের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলেন, আমাদের নদীমাতৃক দেশ এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে ঝুঁকিপূর্ণ দেশ এবং একটা ব-দ্বীপ। এই ব-দ্বীপটাকে সুরক্ষিত করা এবং এখানকার মানুষেরা যাতে সুন্দরভাবে নিরাপদে বাঁচতে পারে তার ব্যবস্থা করা। তিনি বলেন, ২০২১ সাল পর্যন্ত আমাদের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশকে আমরা মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করব। আল্লাহর রহমতে আজকে আমরা উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উন্নীত হয়েছি।
খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকতে ’৯১ সালে আগাম সতর্ক না করায় প্রাকৃতিক দুর্যোগে লাখ লাখ মানুষের প্রাণহানির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাত্র সাড়ে ৩ বছরে জাতির পিতা বাংলাদেশকে একটি স্বল্পোন্নত দেশে পরিণত করলেও এরপর যারা ক্ষমতায় এসেছে তারা যেন ঘুমিয়েই কাটিয়েছে এবং নিজেদের সম্পদ বাড়াতেই ব্যস্ত ছিল। কিন্তু দেশের জন্য দেশের মানুষের জন্য কিছুই করে নাই। ’৯১ সালে ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনাটি সংসদে আমি তুলে ধরলে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন- ‘যত মানুষের মরার কথা ছিল, তত লোক মরে নাই’। এই হচ্ছে তাঁর মানসিক অবস্থা।
রোহিঙ্গাদের আশ্রয় প্রদানের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একাত্তর সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় আমরা রিফিউজি ছিলাম। আমরা জানি, রিফিউজি হিসেবে থাকার কষ্ট। সেজন্য মিয়ানমারের রিফিউজিদের আমরা শুধু আশ্রয়ই দেইনি, তাদের উন্নত বাসস্থানের ব্যবস্থাও করেছি। তারাও যেন ভালভাবে বসবাস করতে পারে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, এগিয়ে যাব। বাংলাদেশের মানুষ উন্নত ও সুন্দর জীবনযাপন করবে, সেটাই আমরা চাই। জাতির পিতার স্বপ্ন আমরা পূরণ করব। বাংলাদেশ সারাবিশ্বে সম্মান নিয়ে চলবে। বাঙালী জাতি সারাবিশ্বে মাথা উঁচু করে চলবে। জাতির পিতার স্বপ্ন ক্ষুধা-দারিদ্র্য মুক্ত বাংলাদেশ।