স্বাস্থ্যবিধি না মানলে ভারতের মতো অবস্থা হতে পারে – স্বাস্থ্য অধিদফতর

3

কাজিরবাজার ডেস্ক :
স্বাস্থ্যবিধি না মানলে আমাদের দেশের অবস্থাও পার্শ্ববর্তী ভারতের মতো হয়ে যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। রবিবার ( ২৫ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদফতর আয়োজিত এক সংবাদ বুলেটিনে এ তথ্য জানান অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন।
দেশে বর্তমানে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের নিম্নমুখী হার। তবে মৃত্যুর হার এখনও এক দশমিক ৪৮ শতাংশ।
রোবেদ আমি বলেন, আমাদের অত্যন্ত সংবেদনশীল হয়ে স্বাস্থ্যবিধি পালন করতে হবে। আর যদি সেটা না হয় তাহলে কিন্তু আমাদের চিত্র আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশের মতো হয়ে যেতে পারে। আমরা যদি ডাবল বা ট্রিপল মিউটেশনের মধ্যে পড়ে যাই তাহলে আমাদের অবস্থা কী পরিমাণ ভয়ঙ্কর হবে সেটা চিন্তা করার জন্যও সাধারণ মানুষকে আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক রোবেদ আমিন বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে বর্তমানে করোনাভাইরাসের অসম্ভব ঊর্ধ্বগতি চলছে। হাজার হাজার মানুষ সেখানে মারা যাচ্ছেন। সেখানে যে দুটো ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে সেগুলো পুরো পৃথিবীর বিস্ময়। তাকে বলা হচ্ছে ডাবল বা ট্রিপল মিউটেশন ভাইরাস। আমরা আবারও সবাইকে বলতে চাই, কোনওক্রমেই যেন এই ডাবল বা ট্রিপল মিউটেশন আমাদের দেশে না এসে পৌঁছায়।
বুলেটিনে তিনি বলেন, কোনও মানুষের কোয়ারেন্টিন করতে হলে সেটা হতে হবে ১৪ দিন। ১৪ দিনের নিচে কোয়ারেন্টিন সম্ভব নয়। কিন্তু শুধু কোয়ারেন্টিন পালন করানোর জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতর একমাত্র অধিদফতর নয়, এখানে আরও অনেক অধিদফতর এবং মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, যদি আমরা বৈজ্ঞানিকভাবে বিষয়টিকে দেখতে চাই, তাহলে আমাদের উচিত হবে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন যেন নিশ্চিত হয়। আর এটা যদি কোনও প্রতিষ্ঠানে হয় তাহলে সবচেয়ে ভালো। সেটা যদি সম্ভব না হয় তাহলে প্রাতিষ্ঠানিক বা হোম কোয়ারেন্টিন যেন সবাই কঠোরভাবে পালন করে সে বিষয়ে সকলকে আহ্বান করা হচ্ছে।
কারণ পাশের দেশ ভারতে যেখানে বেঙ্গল ভ্যারিয়েন্ট চলে এসেছে, সেটা অত্যন্ত মারাত্মক এবং ৩০০শত গুণ বেশি ক্ষমতা চারিদিকে সংক্রমণ করার।
আমরা এখন করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ পার করছি জানিয়ে রোবেদ আমিন বলেন, সরকার ঘোষিত লকডাউন আগামী ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত চলছে। কিন্তু আজ সীমিত পরিসরে শপিং মল এবং দোকানপাট খুলে দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘস্থায়ী লকডাউন কোনও পরিপূর্ণ সমাধান নয়। একইসঙ্গে এতে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই জনগণকে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে এবং শারীরিক দূরত্ব মেনে চলার মতো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। প্রয়োজনে মাঠ পর্যায়ে যারা স্বাস্থ্যবিধি মানানোর দায়িত্বে রয়েছেন তাদের কঠোর হয়ে জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মানানোর প্রয়োজন হতে পারে।