দোয়ারাবাজার হাসপাতালে করোনা টেস্টসহ স্বাস্থ্যসেবা বিঘ্নিত

4

দোয়ারাবাজার থেকে সংবাদদাতা :
৩১ শয্যা বিশিষ্ট দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কমপ্লেক্সে দক্ষ জনবল সংকট ও অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থায় করোনা টেস্টসহ বিঘ্নিত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা।
তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকে দায়ী করছেন সেবা গ্রহিতাদের অনেকেই। ইদানিং করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে করোনা টেস্ট করাতে ব্যর্থ হয়ে অনেকেই বাড়ি ফিরেছেন। আবার অনেকে জেলা সদর হাসপাতালের শরণাপন্ন হয়েছেন। এতে চলমান লকডাউনের মধ্যে নানা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সেবা গ্রহিতারা।
অভিযোগ উঠেছে, দোয়ারাবাজার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি দক্ষ জনবল সংকটের অজুহাতে করোনা টেস্টের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের শরণাপন্ন হতে পরামর্শ দিচ্ছেন সেবা গ্রহিতাদের।
একদিকে সড়কের বেহাল দশা অপরদিকে কড়া লকডাউনে সীমিত যান চলাচলে বিপাকে পড়েছেন ভুক্তভোগিরা।
উপজেলা সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রধান শিক্ষক মুহম্মদ মশিউর রহমান জানান, কদিনের তীব্র জ্বর ও ব্যাথায় ভোগার পর করোনা টেস্ট করাতে তিনদিন অপেক্ষা করি। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দেলোয়ার হোসেনের পরমর্শে বুধবার জেলা সদর হাসপাতালে করোনা টেস্ট করালাম।”
হাসপাতালে কর্মরত ডা. আল-আমীন জানান, দক্ষ লোকবল সংকটে করোনা টেস্ট সাময়িক বন্ধ ছিল।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দেলোয়ার হোসেন জানান, অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থায় সময়ের দীর্ঘসূত্রিতা ও দক্ষ জনবল সংকটই মূলত: স্বাস্থ্যসেবা বিঘ্নতার প্রধান অন্তরায়। তবে বর্তমানে করোনা টেস্টের জন্য সেবা গ্রহিতাদের উপস্থিতির হার একেবারেই কম। তার কারণ হচ্ছে, সুরমা নদীর দক্ষিণ পারের দোহালিয়া, পান্ডারগাঁও ও মান্নারগাঁও ইউনিয়ন, উত্তর পাড়ের বগুলা ও লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের অধিকাংশ সেবা গ্রহিতারা সময় বাঁচাতে ও ভোগান্তি এড়াতে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হন।
তিনি আরও জানান, অপরদিকে বাংলাবাজার, নরসিংপুর ও দোহালিয়া (আংশিক) ইউনিয়নের সেবা গ্রহিতারাও একই সমস্যায় কাছে থাকা ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরণাপন্ন হন। তবে এসব দূর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চল তথা প্রতিটি ইউনিয়নের মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে করোনা প্রতিরোধে ১ম ডোজের সাড়ে ৬ হাজার ভ্যাকসিন পুশ করেছে স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীসহ আমাদের মেডিকেল টিম।’
সুনামগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. শামস উদ্দিন জানান, করোনা টেস্ট বন্ধ রাখা হয়নি। বুধবারেও স্যাম্পল পাঠানো হয়েছে। আমি বিষয়টি দেখব।