সুনামগঞ্জে পল্লী বিদ্যুতের ভেলকিবাজিতে অতিষ্ঠ জনজীবন

10

সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
কোনোভাবেই থামছে না পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিং। বিদ্যুৎ উৎপাদনে সরকারে সফলতা দেখা গেলেও সুনামগঞ্জে এসে সরকারের এই সফলতার গল্প হতাশায় পতিত হচ্ছে।
বিদ্যুতের ভেলকিবাজি সহ্যসীমা অতিক্রম করেছে। কারণে অকারণে ঘন্টারপর বিদ্যুৎবিহীন থাকছে কোনো না কোনো উপজেলা। রমজানের এই প্রচন্ড গরমে পল্লী বিদ্যুতের এই অসহ্য ভোগান্তি জনবিস্ফোরণের পরিণত হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে গ্রাহকরা অকথ্য ভাষায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবার দাবি করে আসলেও ভোগান্তি থেকে মুক্তি মিলছে না গ্রাহকদের। ঝড়-বৃষ্টিতে বিদ্যুৎ না থাকা এখানে স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্ত ইদানিং আকাশে মেঘ উঠতেই বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার সাংস্কৃতি চালু হয়েছে। বিদ্যুৎ না থাকলে সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ বিভাগের দায়িত্বশীলদের মোবাইল ফোনও বন্ধ হয়ে যায়। ফলে বিদ্যুৎ নিয়ে ধোঁয়াশা আর ভোগান্তির মধ্যে আছেন জেলার ১১ উপজেলার ৮০ হাজার গ্রাহক।
অব্যাহতভাবে লোডশেডিং চলতে থাকলেও একে সাময়ি বিপত্তি বলে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ এর দায় চাপাচ্ছেন ৩৩ কেভির ফল্ট আর ঝড় বৃষ্টির উপর।
ক্ষুদ্ধ গ্রাহকরা অভিযোগ করেন, গত ১৫ দিন ধরে সুনামগঞ্জে বিদ্যুৎ বিপর্যয় অতীতের চেয়ে নড়েবড়ে অবস্থার মধ্যে আছে। আকাশে মেঘ দেখলেই বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায়। দৈনিক ২৪ ঘন্টার মধ্যে ২-৩ ঘন্টার বেশি বিদ্যুৎ থাকে না। এই ২-৩ ঘন্টার বিদ্যুৎ স্থির হচ্ছেনা। একবার বিদ্যুৎ এসে ২০ মিনিট থাকলেও এ সময়ের মধ্যে অন্তত ২/৩ বার আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকে। দিনের অনেকটা সময় বিদ্যুতের দেখা থাকেনা। দিনে ২-৩ ঘন্টার বিদ্যুৎ পোলেও তা মেলে গভীর রাতে। ঝড়বাদলের রাতে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ হলে আর চালু হওয়ার কোনো আশাই থাকে না। সব মিলিয়ে বিদ্যুতের একটানা বেহাল দশায় গ্রাহকরা ক্ষুদ্ধ-বিরক্ত।
লোডসেডিং এর ব্যাপারে সুনামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম সুজিত কুমার বিশ্বাস বলেন, ৩৩ কেভিতে ফল্ট দেখা দিয়েছে। কাজ চলছে তাই বিদ্যুৎ সাময়িক বিপত্তি হচ্ছে। ঠিক হয়ে যাবে।
আগের চেয়ে বিদ্যুৎ সেবা ভালো বলে জানান তিনি।