পেঁয়াজের দাম

12

চাল-তেলের দাম বৃদ্ধির পর পেঁয়াজের দাম নিয়ে ব্যবসায়ীরা প্যাঁছাল শুরু করেছে। দুতিন দিনের মধ্যেই পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা তাদের আখের গোঁছানোর পথ বের করে নিচ্ছে। শুরুতেই পেঁয়াজের দামে লাগাম না ধরলে সাধারণ ক্রেতাদের ভোগান্তি শেষ থাকবে না।
আমাদের দেশ সংখ্যা-গরিষ্ঠ মুসলমানের দেশ হিসাবে খ্যাত। রমজান মাস মুসলমান জাতির জন্য ধর্মীয় উৎসব হিসাবে অতি গুরুত্বপূর্ণ। তাই মাত্র মাস খানেক পরই পবিত্র মাহে-রমজান মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বেশী মূল্যবান দিন গুলোতে সকল বয়সের মানুষ রমজান মাসের রোজা রাখার জন্য যখন আগে-ভাগে প্রস্তুতি নেয়ার কথা সেখানে পণ্যের দাম নিয়ে সাধারণ ক্রেতারা আতঙ্কের মধ্যে পড়েছেন। পবিত্র মাহে-রমজান মাসটি কেমন যাবে তাই নিয়ে হতাশায় ভোগছেন।
সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের তড়িৎ ব্যবস্থাপনা অভাবে মানুষের নিত্য-প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম দিন-দিন বৃদ্ধি পেলেও কোন প্রতিকার হচ্ছে না। ফলে দেশের অসাধু ব্যবসায়ী চক্র প্রথমত; চালের দাম বাড়িয়ে দিয়ে সাধারণ ক্রেতাদের পকেট কেটে অনায়াসে টাকা আদায় করে নিচ্ছে, তেমনি ভোজ্য তেলের দাম বাড়ালেও কেহ কিছু বলছে না। তাই সরকারের এ সব নিরবতার কারণে দুতিন দিন থেকে মানষের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় পণ্যে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি করে দিয়ে জনগণের সাথে প্যাঁচালি শুরু করছে।
বর্তমান রবি-শষ্যের মৌসুম এখনও পেঁয়াজের ক্ষেত থেকে পেঁয়াজ সংগ্রহ করা হচ্ছে, এ মুহূর্তে পেঁয়াজের দাম বাড়ানো রহস্যজনক বলে অনেকে মনে করছেন। এ ব্যাপারে সরকার কি পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন তা ভেবে দেখতে হবে। পণ্যের সঠিক দাম নির্ধারণে ব্যর্থ হলে সরকারকেই জবাবদিহি করতে হবে।
বিশেষ সূত্র জানায়, সম্প্রতি মন্ত্রী পরিষদের এক বৈঠক শেষে মন্ত্রী পরিষদ সচিব জানিয়েছেন, ভোজ্যতেল, চিনি, ছোলা, মুসুর ডাল, খেঁজুর ও আদার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, যেভাবে হউক দাম ঠিক রাখতে হবে।
বিশেষজ্ঞ মহলের মতে; মাহে-রমজানের আগেই সাধারণ ক্রেতাদের স্বার্থ রক্ষায় প্রতিটি পণ্যের সঠিক দাম নির্ধারণ করে বাজার নিয়ন্ত্রণে আনার কোন বিকল্প নেই। তাই জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেয়া হউক।