নবজাতকের মৃত্যু রোধে পদক্ষেপ নিন

16

বাংলাদেশে নবজাতকের মৃত্যু প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের অভাবে নবজাতকের মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। যেভাবে হোক সঠিক পদক্ষেপ নিয়ে নবজাতকের মৃত্যু রোধে কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে হবে।
এদিকে বাংলাদেশ সরকার নবজাতকের মৃত্যু হার হ্রাসে বিগত কয়েক দশকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে অনেক সাফল্য জনক ভূমিকা অর্জন করলে ও আবার নি¤œমুখী প্রবণতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। বাংলাদেশ জনমিতি ও স্বাস্থ্য জরিপ (বিডিএইচএস) এর সমীক্ষা অনুসারে নবজাতকের মৃত্যুর হার পূর্বের অবস্থানে ফিরে যাচ্ছে। নবজাতকের মৃত্যু বৃদ্ধির কারণ হিসাবে অন্যতম হলো অকালজাত জন্ম ও জন্মকালীন কম ওজন, সংক্রমণ এবং শ্বাসকষ্টের মতো প্রসবকালীন জটিলতা। নবজাতকের অকাল মৃত্যুর কারণ ও প্রতিকার চিহ্নিত করে ব্যবস্থা করা খুবই জরুরী বলে অনেকে মনে করেন। যেখানে অনেক মেঘা উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, সেখানে নবজাতকের মৃত্যুহার রোধে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না কেন?
বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা; নবজাতকের মৃত্যুহার রোধে প্রধান করণীয় হচ্ছে, প্রতিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মীর দ্বারা প্রসব করানো, গর্ভাবস্থায় প্রসূতির সেবা প্রদান। মূলত; তিনটি কারনে নবজাতকের মৃত্যুহার কমছে না, সেগুলোর মধ্যে নবজাতক জন্মের পর না কাঁদা, স্বল্প ওজন নিয়ে জন্মগ্রহণ করা, এবং নবজাতকের সংক্রমণ বা সেপসিস। এসব পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মীর দরকার। প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্য কর্মীর খুবই প্রয়োজন। সারা দেশব্যাপী স্বাস্থ্য কেন্দ্র থাকলে ও নবজাতকের জন্মের ব্যাপারে সরঞ্জামের অভাব বিদ্যমান। মোটকথা স্বাস্থ্য খাতে বৈষম্যের আবাস রয়েছে। গ্রামীণ ও শহরের স্বাস্থ্য সেবার মানের বৈষম্য দূরীকরণে পদক্ষেপ নিতে হবে।
আমরা মনে করি ইতিমধ্যে সরকার নবজাতকে বাঁচাতে যে পরিকল্পণা গ্রহণ করেছে, তা সফল ভাবে বাস্তবায়ন করা হয়। সঠিক ভাবে বাস্তবায়ন হলে নবজাতকের মৃত্যুহার অনেকাংশে হ্রাস পাবে বলে সচেতন মহল মনে করেন।