জুনের মধ্যে আসবে চার কোটি ৯০ লাখ ডোজ টিকা

2

কাজিরবাজার ডেস্ক :
মহামারি করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক টিকা ইতিমধ্যে বিভিন্ন দেশে প্রয়োগ শুরু হয়েছে। বাংলাদেশও টিকার অপেক্ষায় আছে। আগামী জুন মাসের মধ্যে চার কোটি ৯০ লাখ ডোজ করোনা টিকা পাবে বাংলাদেশ।
বুধবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভায় এই তথ্য জানানো হয়েছে।
কমিটির সভাপতি শেখ ফজলুল করিম সেলিমের সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির সদস্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, মুহিবুর রহমান মানিক, মো. আব্দুল আজিজ, সৈয়দা জাকিয়া নুর, রাহ্গির আলমাহি এরশাদ এবং মো. আমিরুল আলম মিলন সভায় অংশগ্রহণ করেন।
সভায় কমিটির ৬ষ্ঠ সভার সুপারিশ ও সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি এবং করোনাভাইরাস সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করা হয়।
সভায় অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস এবং কোভ্যাক্সের আওতায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে আগামী জুনের মধ্যে চার কোটি ৯০ লাখ ডোজ টিকা পাওয়া যাবে বলে কমিটিকে জানানো হয়।
করোনাভাইরাসের টিকা সরকারের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রেখে জেলা সরকারি হাসপাতাল এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মাধ্যমে প্রদান করার জন্য কমিটি মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে।
এছাড়া, লন্ডন থেকে দেশে ফেরা যাত্রীদের ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন পালন এবং লন্ডন থেকে আসা সব ফ্লাইট বন্ধ করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য কমিটি সুপারিশ করে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি, কোভিড-১৯ এডভাইজারি কমিটির সভাপতি, স্বাচিপের মহাসচিব, বিভিন্ন সংস্থা প্রধানসহ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে বুধবার আরেকটি অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক যুক্তরাজ্যের অ্যাস্ট্রেজেনেকার তৈরি ভ্যাকসিন জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদের কথা জানিয়েছেন। মন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন আনতে গত ৫ নভেম্বর সরকার চুক্তি করছিল। আজ যুক্তরাজ্য সরকার সেই অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন রাষ্ট্রীয়ভাবে অনুমোদন দিয়েছে। এটি অবশ্যই আমাদের জন্য সুখবর। এরপর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন হওয়া মাত্রই সেটি ভারতের পাশাপাশি আমরাও পেয়ে যাবো।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এরপর আগামী জুন মাসের মধ্যেই গ্যাভি ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক আরও ৫-৬ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দেশে চলে আসবে। ভ্যাকসিন ট্রায়ালে অংশ না নেয়ায় ১৮ বছরের নিচে দেশের প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষকে ও গর্ভবতী প্রায় ৩৫ লাখ মায়েদেরকে ভ্যাকসিন দেয়া না লাগলে পাঁচ থেকে ছয় কোটি ভ্যাকসিন প্রয়োগেই দেশ অনেকটা নিরাপদ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।’