কালো দিবসে বাম গণতান্ত্রিক জোটের কালো পতাকা মিছিল ও সমাবেশ

8
ভোট ডাকাতির ২ বছর উপলক্ষে বাম গণতান্ত্রিক জোট সিলেট জেলা শাখার কালো পতাকা মিছিল।

ভোট ডাকাতির ২ বছর উপলক্ষে ৩০ ডিসেম্বর দেশব্যাপী কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাম গণতান্ত্রিক জোট সিলেট জেলা শাখার উদ্যোগে কালো পতাকা মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার থেকে মিছিল শুরু হয়ে কোর্ট পয়েন্টে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়।
সিলেট জেলা বাম গণতান্ত্রিক জোট ও বাসদ সমন্বয়ক আবু জাফরের সভাপতিত্বে ও সিপিবি নেতা নিরঞ্জন দাশ খোকন এর পরিচালনায় সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন বাসদ (মার্কসবাদী) জেলা আহবায়ক উজ্জ্বল রায়, সিপিবি সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আনোয়ার হোসেন সুমন, ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী) জেলা আহ্বায়ক সিরাজ আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক ডাঃ হরি ধন দাস, বাসদ (মার্কসবসদী) নেতা এডভোকেট হুমায়ুন রশীদ শোয়েব, বাসদ নেতা প্রণব জ্যোতি পাল, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট মহানগর শাখার সভাপতি সনজয় কান্ত দাশ, ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতি সরোজ কান্তি, ছাত্র ফ্রন্ট আহবায়ক সনজয় শর্মা প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, সারাদেশ ও জাতি আজ এক কঠিন দু:সময় অতিবাহিত করছে। রাষ্ট্র ক্ষমতায় গায়ের জোরে বসে আছে এক ফ্যাসিবাদী দানব। গত ২০১৮ সলের ৩০ ডিসেম্বর দিনের ভোট রাতে সিল মেরে জনমত ও সমর্থনবিহীন এক অবৈধ সংসদ ও সরকার গঠন করেছে, যা দুই বছর পার করছে।
বক্তারা বলেন, আওয়ামী সরকারের ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন দুর্নীতি, লুটপাট, দলীয়করণ, মূল্যবৃদ্ধি, শ্রমিক ছাঁটাই, নারী ধর্ষণ অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়েছে। ভোট ডাকাতির মাধ্যমে জবরদখলকারী বর্তমান সরকার দেশে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে। সাংবিধানিক সকল প্রতিষ্ঠান অকার্যকর করে রাখা হয়েছে। নির্বাচনকে নির্বাসনে পাঠিয়ে কর্তৃত্ববাদী শাসন প্রতিষ্ঠা করে গণতন্ত্রের কবর রচনা করেছে।গার্মেন্টসসহ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক ছাঁটাই হচ্ছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ছে, ডিসেম্বর ২০২০ সালের মধ্যে ১ হাজার কারখানা বন্ধ হবে, দশ লক্ষ শ্রমিক ছাঁটাই হবে। ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করতে ধর্মান্ধ সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে পৃষ্ঠপোষকতা ও মদত দিচ্ছে। সরকারের মদতে ও আশ্রয়ে-প্রশ্রয়ে ধর্মান্ধ মৌলবাদী ফ্যাসিস্ট শক্তির আস্ফালন ও ঔদ্ধ্যত্ত্ব সীমা ছাড়িয়েছে। এই শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য জনগণ পরিবর্তন চায়। সেই পরিবর্তনের লক্ষে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনা বৈষম্যহীন সমাজ-রাষ্ট্র সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য নেতৃবৃন্দ দেশের সকল বাম প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, শক্তি, ব্যক্তিকে ঐক্যবদ্ধ গণআন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানান। বিজ্ঞপ্তি