বিশ্বনাথে নাইটগার্ড হত্যা মামলায় একজনের ফাঁসি, ৩ জন বেকসুর খালাস

14

স্টাফ রিপোর্টার  :
বিশ্বনাথের কাইরঘাট মিছবাহুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার নাইটগার্ড আব্দুল মতিন খান হত্যা মামলায় একজনের ফাঁসি (মৃত্যুদন্ড) ও অপর ৩ জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়। গতকাল সোমবার ৩০ নভেম্বর দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের বিচারক মিজানুর রহমান ভূঁইয়া চাঞ্চল্যকর এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামীর নাম, মো: মোফাজ্জল হোসেন (২৫)। সে বিশ্বনাথ থানার দেওকলস ইউনিয়নের কাইরঘাট ( জগৎপুর) গ্রামের মৃত মুসলিম আলীর পুত্র এবং খালাস প্রাপ্তরা হচ্ছেন, একই গ্রামের মো: ফয়েজ মিয়ার পুত্র তারেক আহমেদ দুলন মিয়া (৩০), মৃত জাবিদ উল্লাহর পুত্র সুরুজ আলী (৪০) ও মৃত আব্দুল মজিদের পুত্র সুন্দর আলী (৫০)। রায় ঘোষণার সময় ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামীসহ সকল আসামী আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
আদালত ও মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্র“তার জের ধরে গত ২০১৪ সালের ১৯ জুন ভোর ৪ টার পূর্বে যেকোন সময় বিশ্বনাথ থানার কাইরঘাটস্থ মিছবাহুল উলুম দাখিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে নাইটগার্ড আব্দুল মতিন খান (৫৫) কে আসামী সুরুজ আলী, সুন্দর আলী, তারেক আহমদ দুলন মিয়ার প্রত্যক্ষ ও প্ররোচণায় মোফাজ্জল হোসেন আব্দুল মতিন খানকে ধারালো ছোরা দিয়ে বুকের ডান পাশে আঘাত করে নির্মমভাবে তাকে হত্যা করে।
এ ঘটনায় নিহত আব্দুল মতিন খানের মেয়ে চাঁদপুর সদর থানার খলিসাডুলি গ্রামের মোছা: সেলিনা বেগম অজ্ঞাতনামা আসামী করে বিশ্বনাথ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার নং-১৬ ( ২৩/৬/২০১৪)।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে একই বছরের ২৯ আগষ্ট বিশ্বনাথ থানার এসআই টিপু সুলতান ৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ মামলার ১৪৪ নং চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন এবং ২০১৫ সালের ৮ এপ্রিল থেকে এ মামলার বিচারকার্য শুরু হয়।
দীর্ঘ শুনানী ও ২৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত আসামী মো: মোফাজ্জল হোসেনকে ১৮৬০ এর ৩০২ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদন্ড ( ফাঁসি ) ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয় এবং আসামী তারেক আহমদ দুলন মিয়া, সুরুজ আলী ও সুন্দর আলীদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ আদালতে প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে এ মামলা থেকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষে এপিপি এডভোকেট আব্দুস সাত্তার ও আসামীপক্ষে এডভোকেট মো: ইকবাল হক চৌধুরী মামলাটি পরিচালনা করেন।