উদীচীর সাংস্কৃতিক সমাবেশ ॥ সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে

21
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ধর্ষণ, নারী নিপীড়ন সহ বিচারহীনতার বিরুদ্ধে সাধারণ নাগরিকদের নিয়ে আন্দোলন চলছে ‘দুস্কাল প্রতিরোধে আমরা’। এ সময় স্কুল, কলেজ শিক্ষার্থী থেকে শুরু নানা শ্রেণী পেশার মানুষ, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও নাগরিক সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে এই আন্দোলনের ডাক দেয়া হয়। ছবি- মামুন হোসেন

চলমান ধর্ষণ, নারী নির্যাতন বিচারহীনতার প্রতিবাদে সাংস্কৃতিক সমাবেশ করেছে উদীচী সিলেট জেলা সংসদ। সিলেট, নোয়াখালী, খাগড়াছড়ি, সাভারসহ দেশব্যাপী অব্যাহত ধর্ষণ, বর্বরোচিত নারী নির্যাতন ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে সারাদেশে একযোগে প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক সমাবেশের অংশ হিসেবে সিলেটেও এ সাংস্কৃতিক সমাবেশ করে উদীচী, সিলেট।
শুক্রবার বিকেল ৪টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক সমাবেশ শুরু হয়। উদীচী সিলেটের সভাপতি এনায়েত হাসান মানিকের সভাপতিত্বে ও সহ-সভাপতি মাধব রায়ের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় উদীচীর সাবেক সহ সভাপতি ব্যারিস্টার আরশ আলী।
উদীচী সিলেটের নাট্য সম্পাদক ফাহমিদা এলাহীর কাব্যনাট্য নারী পরিবেশনার মধ্যদিয়ে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও সাংস্কৃতিক প্রতিবাদ শুরু হয়। দেশব্যাপী অব্যাহত ধর্ষণ, বর্বরোচিত নারী নির্যাতন ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে সারাদেশে একযোগে প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক সমাবেশে সংহতি জানিয়ে সাংস্কৃতিক প্রতিবাদে অংশ নেন সাংস্কৃতিক ইউনিয়ন সিলেট, একদল ফিনিক্স ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী। উদীচী সিলেট জেলা সংসদ ও লাক্কাতুরা শাখার শিল্পীরাও প্রতিবাদী গণসংগীত পরিবেশন করেন। একক পরিবেশনায় অংশ নেন উদীচী সিলেটের সহ-সভাপতি গণসংগীতশিল্পী অংশুমান দত্ত, রতন দেব।
সাংস্কৃতিক সমাবেশে সংহতি জানান, দুষ্কাল প্রতিরোধে আমরা’র নেতৃবৃন্দসহ বাম গণতান্ত্রিক ছাত্র সংগঠন ও রাজনৈতিক সংগঠন।
বক্তরা ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করার দাবি জানান। পাশাপাশি শুধু আইন করে, গ্রেফতার করে, নিম্ন আদলতে রায় দিয়ে মানুষকে বোকা না বানিয়ে প্রকৃত আইনের শাসনের আওতায় এনে পুরোনো মামলাগুলোরও সমাধান এবং দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি তুলেন। দ্রুত আইনের আওতায় এনে এরকম সংবেদনশীল ও মারাত্মক অপরাধ বিবেচনায় ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রয়োগ ও বাস্তবায়নে উচ্চ আলাদতের সক্রিয়তার আহ্বান জানান। বিজ্ঞপ্তি