দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অনিয়ম ও দুর্নীতির আখড়া

33

দোয়ারাবাজার থেকে সংবাদদাদা :
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ। দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেন উপজেলার সদর ইউনিয়নের মাস্টার পাড়া, নৈনগাঁও, মাঝেরগাঁও ও মংলারগাঁও গ্রামের আব্দুল মজিদ, দেলোয়ার হোসেনসহ আরো কয়েকজন বাসিন্দা। ৫ অক্টোবর সোমবার দুপুরে তারা এ অভিযান দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন কর্মস্থলে যোগদানের পর থেকেই আজোবধি পর্যন্ত নিয়ম বহির্ভূতভাবে হাসপাতালে অবস্থান না করেই সিলেট অবস্থান করছেন। তার নামে সরকারি কোয়ার্টার বরাদ্দ থাকা স্বত্ত্বেও তিনি দায়সারা ভাবে সপ্তাহে ১-২ দিন ঘন্টা তিনেক সময় অফিস করে সিলেটে অবস্থান করেন। তার বিরুদ্ধে সরকারি গাড়ি পারিবারিক কাজে ব্যবহার করার অভিযোগও রয়েছে।
শুধু উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধেই নয় হাসপাতালের অফিস সহকারি হানিফের বিরুদ্ধেও অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনেছেন অভিযোগকারীরা। অভিযোগ রয়েছে, অফিস সহকারি হানিফ দীর্ঘ টানা ১৫-২০ বছর যাবৎ একই কর্মস্থলে রয়েছেন। তিনি দূর্নীতি করে অঢেল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। ২০১৫-১৯ সাল পর্যন্ত সরকারি গ্যাস বিলের নামে কোয়ার্টার থেকে উত্তোলনকৃত টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ডেলিভারি রোগীর ফ্রি এ্যাম্বুলেন্স ভাড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে, হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্মরত ডাক্তার সময়মতো পাওয়া যায় না। এতে করে স্বাস্থ্যসেবা গ্রহিতারা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। মেডিকেল অফিসার সিফাত আরা সামরিন ও সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে রোগীদের সাথে অসদাচরণের অভিযোগও এসেছে।
অভিযোগকারীরা, দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
এব্যাপারে মোবাইলে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অফিস সহকারি হানিফ তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে সবগুলি ভিত্তিহীন।
অভিযোগের বিষয়ে দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেনের মোবাইলে একাধিক বার কল দেওয়া হলেও কল রিসিভি না করায় তার বক্তব্য নেওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোনিয়া সুলতানার মোবাইলে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও কল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।