ছাত্রলীগ কর্মী হাবিব হত্যা মামলায় ১১ আসামিই বেকসুর খালাস!

6

স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ছাত্র ও ছাত্রলীগ কর্মী কাজী হাবিবুর রহমান হাবিব (২৪) হত্যা মামলার সকল আসামি খালাস দিয়েছেন আদালত।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে সিলেটের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুমিনুন নেসা তাদেরকে খালাস প্রদানের এই রায় দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট জুবায়ের বক্ত। তিনি বলেন, ‘মামলায় ১১ জন আসামি ছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত খালাস প্রদান করেছেন। জুবায়ের বক্ত আরও বলেন, এ হত্যা মামলার আসামিদের মধ্যে ৮ জন আদালতে হাজির ছিলেন। বাকি ৩ জন পলাতক ছিলেন।
আসামিরা হচ্ছেন, ছাত্রলীগ নেতা হোসাইন মোহাম্মদ সাগর, ইলিয়াছ আহমদ পুনম, ইমরান খান, সুবায়ের আহমদ সুহেল, ময়নুল ইসলাম রুমেল, তুহিন আহমদ, নাহিদ হাসান, আওয়াল আহমদ সোহান, আশিক, সায়মন ও নয়ন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ১৯ জানুয়ারি দুপুরে সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ফটকে কাজী হাবিবুর রহমানের উপর হামলা হয়। তার ডান পা ও হাতে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায় হামলাকারীরা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি ঘটলে সেখান থেকে নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে ওই দিন রাত পৌনে ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। ওই ইউনিভার্সিটির বিবিএ চতুর্থ বর্ষের ছাত্র হাবিব ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের রানীঘাট গ্রামের কাজী সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে ছিলেন হাবিব। ইউনিভার্সিটির পাশে কানিশাইল এলাকার একটি মেসে থাকতেন তিনি। এ খুনের ঘটনায় হাবিবের ভাই কাজী জাকির হোসেন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। মামলায় উল্লেখিত ১১ জনকে আসামি করা হয়। এদের মধ্যে হোসাইন মোহাম্মদ সাগরকে কয়েকদিন আগে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। খুনের ঘটনার পর এদের সবাইকের ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে বহিষ্কার করা হয়। তখন হাবিব খুনের ঘটনায় বেশ আলোড়ন তুলে সিলেটের রাজনীতিতে। আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ দাবি করেন, হাবিব কোনো রাজনৈতিক কারণে নয়, ব্যক্তিগত কারণে খুন হয়েছেন। কিন্তু হাবিব খুনের বিচার আর পেলো না তার পরিবার।
রাষ্ট্রপক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট জুবায়ের বক্ত ও আসামিপক্ষে এডভোকেট আব্দুর রহমান আফজাল ও এডভোকেট সুহেল আহমদ মামলাটি পরিচালনা করেন।