মাঠ পর্যায় নিরাপাত্তা

10

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের ইউএনও ওয়াহিদা খানমের উপর সন্ত্রাসী হামলার সরকার মাট পর্যায়ে নিরাপাত্তার বিষয় কঠোর হচ্ছে। মাট পর্যায় নিরাপাত্তা জোরদারে সরকার বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্যে আনসার বাহিনীকে নিয়োগ দিচ্ছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন উপজেলায় ইউএনও’র অফিসে সশস্ত্র অবস্থায় আনসার বাহিনীকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
ইউএনওদের নিরাপাত্তা জোরদারের উদ্যোগকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আনসার বাহিনীর একটি চৌকস সদস্যদের নিয়ে একটি ইউনিট ও গঠন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন উপজেলায় পুলিশের সাথে আনসার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ইউএনও দের আরো নিরাপাত্তা দিতে সব উপজেলা কমপ্লেক্স সিসিটিভির আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
উপজেলা পর্যায় সরকারী কর্মকর্তাদের নিরাপাত্তায় পুলিশ সহ আনসার নিয়োগ দেয়া খুবই জরুরী। দেশের প্রত্যন্তাঞ্চল থেকে উপজেলা পর্যায় চাকুরী করতে এসে নিরাপাত্তা না থাকে হলে তাদের কাজকর্ম কিভাবে করবে তা নিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারিরা সর্বদা থাকবে উদাসীন। তাই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত সরকারী কর্মকর্তাদের নিরাপাত্তা বিষয়ে সরকারের এ উদ্যোগ নেয়া খুবই প্রয়োজন বলে অনেকে মনে করেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে প্রতিটি উপজেলা কমপ্লেক্সে ইউএনও’র বাস ভবন ও অন্যান্য কর্মকর্তাসহ সাধারণ কর্মচারীদের বাসা-বাড়ী রয়েছে, এসব কর্মকর্তাবৃন্দ পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করতে হয়। এমতাবস্থায় উপজেলা কমপ্লেক্স এর নিরাপাত্তায় কঠোর হওয়ার বিকল্প নেই।
বর্তমানে দুর্বৃত্তদের হাত থেকে নিরাপাত্তা দিতে সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারিদের নিরাপাত্তা প্রদানে সরকারের এ উদ্যোগ খুবই প্রশংসনীয় বলে সচেতন মহল মনে করেন।