বাজার নিয়ন্ত্রণ জরুরী

30

বাজারের নিত্য-পণ্যের মূল্য নির্ধারণে নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে। সুযোগ-সন্ধানী অসাধু ব্যবসায়ী চক্র কোন প্রকার বাধাহীন অবস্থায় ক্রেতা সাধারণকে হয়রানী করছে। বাজারকে নিয়ন্ত্রণ করতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের হস্তক্ষেপ খুবই জরুরী বলে সচেতন মহল মনে করছেন।
ভোগ্যপণ্যের বাজারে পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচের ঝাঁজে নাকাল হতে হচ্ছে সাধারণ ক্রেতারা। গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এমন গতিতে পেঁয়াজ- কাঁচা মরিচের মূল্যে বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে, যা আটকাতে কেউ পারছে না। পাগলা ঘোড়ার মত মূল্যে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সম্প্রতি পেঁয়াজের মূল্যে ৩০/৩৫ টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে রাতারাতি ৬০/৬৫ টাকা, কাঁচা মরিচের মূল্যে ২শ টাকা থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ হঠাৎ পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচের মূল্যে বৃদ্ধিতে সাধারণ ক্রেতাদের ক্রয় করতে গিয়ে নাভিশ্বাস।
সংশ্লিষ্ট বিভাগ সূত্র মতে পেঁয়াজের মূল্যে রোধে টিসিবি‘র মাধ্যমে পেঁয়াজ সরবরাহ করার ব্যবস্থা করা হবে, তা সত্য কিন্তু টিসিবির মাধ্যমে সরবরাহকৃত পেঁয়াজ কি সাধারণ ক্রেতারা পাবে ? ইহাই সাধারণ ক্রেতাদের বড় প্রশ্ন ?
এদিকে সবজি ব্যবসায়ীরা ও মেঘ-বৃষ্টির অজুহাতে সকল ধরনের সবজির মূল্যে বৃদ্ধি করেছে। যদিও বাজারে নতুন-নতুন সবজির সমাগম থাকার কথা। বর্তমান সবজির বাজারে অনেক নতুন সবজি বাজারজাত করা হচ্ছে। কিন্তু অসাধু ব্যবসায়িরা ভোগ্যপণ্যের সাথে তাল মিলিয়ে বাজারে শাক-সবজির মূল্যে বৃদ্ধি করে ক্রেতা সাধারণের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি করছে।
বিগত দিনে দেখা গেছে টিসিবির সরবরাহকৃত পেঁয়াজ সাধারণ মুদির দোকানে অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রি হয়েছে। অনেক সময়ে আইন শৃংখলা বাহিনীর হাতে আটক হয়েছে এমনকি মামলাও হয়েছে, কিন্তু এতে করেও কোন ভালো ফল হয়নি।
দেশ আজ মহামারি করোনা ও বার-বার প্রাকৃতিক দুর্যোগ বন্যার ফলে মানুষ চরম আর্থিক অভাব-অনটনের মধ্যে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে, এ অবস্থার প্রেক্ষিতে নিত্য-প্রয়োজনীয় ভোগ্য পণ্যের মূল্যে বৃদ্ধি করে অসাধু ব্যবসায়ী চক্র ফায়দা লুটতে চাচ্ছে, তাহা রোধে সরকার কঠোর ভূমিকা নিতে এগিয়ে আসতে হবে।