দোয়ারাবাজারের নূরপুর জামে মসজিদে ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যুৎ লাইন

15

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে মসজিদে একটি ঝুঁকিপূর্ণ সচল পল্লী বিদ্যুৎ লাইনের কারণে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন মসজিদে আগত মুসল্লীসহ স্থানীয় বাসিন্দারা। উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের নূরপুর জামে মসজিদে এই বিদ্যুৎ লাইনটির অবস্থান।
জানা যায়, ঝুঁকিপূর্ণ এই বিদ্যুৎ লাইনটির রুট পরিবর্তনের জন্য গ্রামবাসী ও মসজিদ পরিচালনা কমিটি পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের দারস্থ হলেও এখনো পর্যন্ত কোনো ধরনের উদ্যোগ নেয়নি তারা। উপরন্তু নানান সরকারি বাধ্যবাধকতা দেখিয়ে পোল স্থানান্তর করতে মসজিদ কমিটির কাছে লিখিতভাবে অর্ধ লক্ষাধিক টাকা দাবি করছে সুনামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ছাতক জোনাল অফিস।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নূরপুর জামে মসজিদের ভেতরে প্রবেশের মূল দরজা লাগোয়া জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি। এই খুঁটিতে একটি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার মিটারও বসানো আছে। এখান থেকে তিনটি তারে ৩৩ হাজার ভোল্টেজের বৈদ্যুতিক লাইন গেছে বিভিন্ন দিকে। হাই ভোল্টেজের তারবাহী সচল এই বৈদ্যুতিক লাইন স্পর্শ করেছে মসজিদের ছাদ।
স্থনীয়রা জানায়, গ্রামের দুরন্তপনা শিশুরা প্রায়ই গাছ বেয়ে মসজিদের ছাদে উঠে খেলাধূলা করে থাকে। ছাদে বিদ্যুৎ লাইন ধরাছোঁয়ার নাগালে থাকায় বিদ্যুৎ পৃষ্ঠ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। মসজিদের মূল দরজার সামনে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফার মিটারের খুঁটি থাকায় মসজিদে আসা যাওয়া করতে অসুবিধা হচ্ছে মুসল্লীদের। এছাড়াও প্রতিদিন কয়েক শতাধিক মুসল্লী পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে মসজিদে এদিক দিয়ে আসা যাওয়া করে থাকে। প্রতি সপ্তাহে জুম্মার নামাজে এ মসজিদে হয় বড় ধরনের জনসমাগম। মসজিদের মূল দরজার সামনে বিদ্যুতের খুঁটিতে বসানো বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার মিটার যেকোনো সময় বিস্ফোরণ ঘটে প্রাণহানিসহ বড়ধরণের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।
নূরপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রউফ জানান, গ্রামের প্রতিটি পরিবারের অভিভাবকরা শিশুদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। তাদেরকে সবসময় চোখে চোখে রাখতে হয়। শিশুরা প্রায়ই মসজিদের আশপাশে খেলাধূলা করতে যায়। অনেকে গাছ বেয়ে মসজিদের ছাদে উঠে। কখন যে দুর্ঘটনা ঘটে বলা যায় না। শুধু শিশুরাই নয়, মসজিদে নামাজ পড়তে আসা মুসল্লীরাও সবসময় আতঙ্কে থাকেন। মসজিদের মতোন এরকম জনসমাগম স্থানে ট্রান্সফরমার মিটার অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
নূরপুর জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির মতোয়াল্লী মোঃ আব্দুর নূর জানান, মসজিদের মূল দরজার সামনে বিদ্যুতের খুঁটি থাকায় মুসল্লীদের মসজিদে আসা যাওয়া করতে অনেক অসুবিধা হয় এবং খুঁটিতে একটি ট্রান্সফরমার থাকায় তা খুব ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মসজিদের আর্থিক অবস্থা শোচনীয় থাকায় সরকারি খরচে মসজিদের ঝুঁকিপূর্ণ বৈদ্যুতিক খুঁটি দ্রুত স্থানান্তরের দাবি জানাই।
এ ব্যাপারে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে সুনামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার অখিল কুমার সাহা প্রতিবেদককে জানান, ঝুঁকিপূর্ণ বৈদ্যুতিক খুঁটি সরানোর জন্য মসজিদ কর্তৃপক্ষ ছাতক জোনাল অফিসকে অবহিত করেছে বলে জানতে পেরেছি। স্থানীয় কয়েকজন আমার সাথে যোগাযোগ করেছে। আমি বিষয়টি দেখব। (খবর সংবাদদাতার)