সিলেটে বন্যা

13

সিলেটের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে অব্যাহত প্রচুর বৃষ্টিপাতের ফলে সিলেট অঞ্চলের প্রত্যেকটি উপজেলায় নিম্নাঞ্চল ফের প্লাবিত হয়ে পড়েছে। সাধারণ মানুষ গত বন্যার পানি কমতে না কমতেই আবার সিলেটের সুরমা-কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি হতে থাকে। অসংথ্যক বন্যার্ত মানুষ ঘর-বাড়ীতে এখনও প্রবেশ করতে পারেনি। ফলে ঘর-বাড়ী ছাড়া লাখো মানুষ ফেরার আগেই সিলেট-সুনামগঞ্জের বন্যার্ত মানুষআবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। পানিবন্দি মানুষের দূর্গতি বাড়িয়ে তুলছে।
ভারতের হিমালয় পর্বত ও আসামের খাসিয়া জৈন্তার পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত সিলেট অঞ্চলসহ পশ্চিমবঙ্গ, আসাম-মেঘালয়, চেরাপুঞ্জি-শিলং-দার্জিলিং, কাছার জেলার উজানে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় সিলেটের প্রধান নদ-নদীর মধ্যে কাছাড়ের বরাক নদীর শাখা নদী কুশিয়ারা-সুরমা নদীসহ অন্যান্য নদ-নদী গুলোতে পাহাড়ী ঢলের পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বৃষ্টি-পাত অব্যাহত থাকায় কুশিয়ারা-সুরমা নদীসহ শাখা-প্রশাখা নদী সমুহে বিপদসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ফের বন্যার কবলে পড়ায় বন্যার্ত মানুষ পড়েছেন চরম দুর্ভোগে।
অব্যাহত ভারী বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ী ঢলের ফলে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইন ঘাট, কানাইঘাট, জকিগঞ্জের নিম্নাঞ্চল, ফেঞ্চুগঞ্জ, বালাগঞ্জ, এবং সুনামগঞ্জের ছাতক, দোয়ারাবাজার, সুনামগঞ্জ সদর, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, দিরাই, শাল্লা সহ হাওরাঞ্চলের লাখো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এ সব বাড়ী-ঘর সহ ক্ষেত-খামারে ফের পানি প্রবেশ করছে।
আবহাওয়া সূত্র মতে এ ভাবে আরোও কয়েকদিন বৃষ্টিপাত হবে, ফের বন্যার আশংকা উড়িয়ে দেয়া যায় না। তবে এ সাপ্তাহ বৃষ্টি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
সিলেট অঞ্চলের ফের বন্যার্ত মানুষের সাহায্যোর্থে সরকারী সহায়তার সাথে বিত্তমানদের এগিয়ে আসা খুবই প্রয়োজন বলে সচেতন মহল মনে করেন।