সুনামগঞ্জে ভূমি কর্মকর্তার উপর হামলাকারীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

7

সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
সুনামগঞ্জ সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা কাজী শামসুল হুদা সোহেল এর উপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে সদর উপজেলার জয়নগর বাজারে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মোহনপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ এর সভাপতি বাবু হেমন্ত তালুকদারের সভাপতিত্বে ও নির্মাণ শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের সাধারণ স¤পাদক সাজু তালুকদারের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে এলাকার সর্বস্তরের জন-সাধারণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য ১০ জুন বুধবার সকালে শহরের কাজির পয়েন্টে মুখোশধারী সন্ত্রাসী ব্যক্তির হামলার শিকার হন সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা কাজী শামসুল হুদা সোহেল। এ ঘটনায় ৫ জনকে আসামী করে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ৩ জনকে আটক করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।
হামলার শিকার শামছুল হুদা সোহেল বলেন “জলমহাল, বালু মহাল ও বিভিন্ন স্থানে সরকারি সম্পত্তি রক্ষায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনার কারণেই হয়তো কোন ক্ষুব্ধ গোষ্ঠী এই হামলা করাতে পারে। হামলার সহযোগীরা মূল হামলাকারীর পরিচয় আমার সহকর্মীদের কাছে স্বীকার করেছে।
আটককৃতরা হলো শহরের উত্তর আরপিন নগরের মহিবুর রহমানের ছেলে রবিন মিয়া (২০), শহিদ মিয়ার ছেলে মো. আকাশ (২২) ও শহিদুল হকের ছেলে নিহারুল হক রবিন (২২)। এদের নামে অপহরণসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। তারা ছাতক থানার কালারুকা ইউনিয়নের কাজীহাটা গ্রামের ফারুক আহমদ মনোহরই মুখোশধারী মূল হামলাকারী বলে পুলিশকে জানায়। মঙ্গলবার রাতে এসে সুনামগঞ্জ শহরের আল হেলাল হোটেলে অবস্থান করে ঐ মনোহর। রাতে তিন তরুণকে নিয়ে হোটেলে আলাপ করে এবং সকালে এক সঙ্গে নাস্তা করে আলাদাভাবে কাজী শামসুল হুদা সোহেলের উকিলপাড়াস্থ ভাড়াটে বাসভবনের পাশে গিয়ে ওৎপেতে থাকে। সোহেল সকালে অফিসে যাবার সময় ভাড়া বাসা থেকে বের হলে পিছন দিক থেকে তার মাথা বরাবর লোহার রড দিয়ে আঘাত করে মনোহর। এ সময় স্থানীয়রা ধর ধর বলে চিৎকার দিলে ঐ মুখোশধারী রাস্তায় রাখা সিএনজি করে দ্রুত পালিয়ে যায়।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ ও পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন,সরকারি কর্মচারীকে এভাবে মুখোশ পড়ে হামলার ঘটনাটি কঠোরভাবে দেখা হবে।