করোনা মোকাবেলা সামনের সারিতে জামালগঞ্জ কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো, আক্রান্ত ২ জন

19

নিজাম নুর জামালগঞ্জ থেকে :
প্রান্তিক জনগোষ্ঠির স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে প্রতিদিন নিয়ম করেই খুলছে প্রান্তিক পর্যায়ের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো। পেটের ব্যথা কিংবা জ্বর, সর্দি বা কাশি, ডায়রিয়া, আমাশয় ইত্যাদি রকম সমস্যা নিয়ে প্রথমে হাতের কাছের এসব প্রতিষ্ঠানেই আসেন গ্রামের মানুষ। আর কোন ধরণের ভোগান্তি ছাড়াই বিনামূল্যে ওষুধ আর সেবা নিয়ে বাড়ি ফিরছেন তারা।
সরকারি বেসরকারি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মতো করোনার অজুহাত খাড়া করে মানুষকে সেবা বঞ্চিত করতে রাজি নন সিএইচসিপিরা। নিজেদের সুরক্ষায় সামান্য চাওয়াটুকু পূরণ হলে করোনা যুদ্ধে সামনের সারিতেই থাকতে চান তারা।
করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্য সেবার পাশাপাশি কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মীদের তথ্য সংগ্রহের কাজে লাগানোর পরামর্শ চিকিৎসকদের। তবে ইতোমধ্যে ডিজিটাল সার্ভিলেন্স চালুর উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। কেউ বিদেশ থেকে আসলো কিনা, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ থেকে কিংবা অন্য কোথাও থেকে আসলো কিনা, এসব খোঁজ-খবর এসব তথ্য সংগ্রহ করে সাথে করোনাকালীন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে পরামর্শ প্রদান করছেন গরীবের ডাক্তার বলে খ্যাত কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপিগণ।
সারাদেশে সাড়ে তেরো হাজারেরও বেশী কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকের ন্যায় সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার কমিউনিটি ক্লিনিক গুলোতে প্রতিদিন গড়ে ৩৫ থেকে ৪০ জন মানুষ স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে থাকেন। করোনা মহামারি সংকটে তাদের স্বাস্থ্য সেবার পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সহ করোনা প্রতিরোধের জন্য স্বাস্থ্য বিধি মানতে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন তারা। জামালগঞ্জ উপজেলার ১৬টি কমিউনিটি ক্লিনিকে সেবাদানকারী সিএইচসিপিদের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ পর্যন্ত উপজেলার ফেনারবাক ইউনিয়নের কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মরত সিএইচসিপি আজিম উদ্দিন, সাচনা বাজার ইউনিয়নের ভরতপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত মোঃ ইকবাল হোসেনের করোনা পজিটিভ এসেছে। এমন পরিস্থিতিতে থেমে নেই তাদের স্বাস্থ্য সেবা, নিজের নিরাপত্তার ও পরিবার পরিজন পিছনে ফেলেও প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন তারা।