দেশে রাষ্ট্রদূতদের অধিকতর জবাবদিহিতার আওতায় আনার নতুন উদ্যোগ

7

কাজিরবাজার ডেস্ক :
বাংলাদেশের বৈদেশিক মিশনে নিয়োগপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতদের অধিকতর জবাবদিহিতার আওতায় আনতে নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতরা এখন থেকে স্ব স্ব মিশনের আগামী তিন বছরের কর্মপরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন পদ্ধতি সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সামনে পেশ করবেন।
গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে দুজন নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের কর্মপরিকল্পনা পেশের মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বার্তায় জানানো হয়েছে।
জাপানের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমেদ ও রোমানিয়ার নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মো. দাউদ আলীকে দিয়ে এই নতুন কার্যক্রম শুরু হয়। দুই রাষ্ট্রদূতই তাদের আগামী তিন বছরের কর্মপরিকল্পনা পেশ করেন।
নতুন এই উদ্যোগ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ‘১৭ মে ঐতিহাসিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে করোনা ভাইরাসের সময় সংসদীয় কমিটির বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে প্রথমবারের মতো দুজন রাষ্ট্রদূত বিদেশে দায়িত্বপালনকালে দেশের জন্য ও প্রবাসী বাংলদেশিদের জন্য কী কাজ করবেন এবং কী ধরনের উদ্যোগ নেবেন তা উপস্থাপন করেন।’
এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে রাষ্ট্রদূতদের জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
মোমেন বলেন, ‘সংসদীয় কমিটির সদস্যরা রাষ্ট্রদূতদের দেশের ও জনগণের উন্নয়ন কীভাবে ত্বরান্বিত করা যায় সে বিষয়ে উপদেশ ও দিকনির্দেশনা দেন। রাষ্ট্রদূতের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে যারা কাজ করেন তাদেরকে এ ধরনের পরিকল্পনা ও জবাদিহিতার আওতায় আনার মাধ্যমে নতুন দিগন্ত খুলেছে বলে আমি মনে করি।’
করোনা পরিস্থিতির মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত বাংলাদেশিকর্মীদের নিয়ে সরকারের কর্মপরিকল্পনা প্রসঙ্গে মোমেন বলেন, ‘প্রবাসীরা যাতে বিদেশে না খেয়ে থাকে সে জন্য অর্থ পাঠানো হয়েছে এবং দুস্থ প্রবাসীদের খাদ্য সাহায্য দেওয়া হচ্ছে। প্রবাসী শ্রমিকরা চাকরিচ্যুত হলেও যাতে কম পক্ষে ছয় মাসের বেতন ও অনুষঙ্গিক সুবিধা পায় সে জন্য দেনদরবার করা হচ্ছে।’
বিদেশে আটকে পড়া বাংলাদেশি ও প্রবাসীদের সার্বিক বিষয়ে যোগাযোগ রক্ষা করার জন্য সাধারণ সরকারি ছুটির মধ্যেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় খোলা রাখা হয়েছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খানের সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম ছাড়াও সংসদ সদস্য ড. মো. হাবিবে মিল্লাত, কাজী নাবিল আহমেদ এবং নাহিম রাজ্জাক উপস্থিত ছিলেন।