বড়লেখা থেকে সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় একটি কলোনিতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে কলোনির একটি দোকানসহ ১০টি ঘর পুড়ে গেছে। মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) ভোরে পৌরসভার মহুবন্দ এলাকার ইসলাম উদ্দিনের কলোনিতে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
তবে এর আগেই আগুনে দোকানের বিভিন্ন মালামাল এবং ১০টি ঘরের বিভিন্ন আসবাবপত্র পুড়ে প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগস্ত মানুষজন দাবি করছেন। ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিক আব্দুল হাছিবের দাবি শত্রুতার জের ধরে কেউ এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে। এদিকে সকালে খবর পেয়ে পৌসভার মেয়র আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী ও স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর রাহেন পারভেজ রিপন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভার মহুবন্দ এলাকার ইসলাম উদ্দিনের কলোনিতে একটি মুদি দোকানসহ ১০টি সেমিপাকা ঘর রয়েছে। কলোনিতে মুদি দোকানি আব্দুল হাছিবসহ চারটি পরিবার বসবাস করে। মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) রাত সাড়ে তিনটার দিকে কলোনির বাসিন্দা আব্দুল হাছিবের দোকানে হঠাৎ আগুন লাগে। আব্দুল হাছিব আগুন লাগার বিষয়টি টের পেয়ে ঘুম থেকে উঠে পড়েন। এ সময় তিনি কলোনির অন্য বাসিন্দাদের ঘুম থেকে ডেকে তুলেন। পরে স্থানীয় একটি মসজিদে কলোনিতে আগুন লাগার বিষয়টি মাইকিং করে জানানো হয়। কিন্তু মুহূর্তেই আগুন দোকানের পেছনে থাকা ঘরগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় লোকজন ফায়ার সার্ভিসকে জানান এবং আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চালায়। কিন্তু এর আগেই আগুন দোকানসহ কলোনির দশটি সেমিপাকা ঘর আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুনে দোকানের বিভিন্ন মালামাল এবং ১০টি ঘরের বিভিন্ন আসবাবপত্র পুড়ে প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষজন দাবি করছেন।
স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর রাহেন পারভেজ রিপন বলেন, পৌরসভার মেয়রসহ আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। কিভাবে আগুন লেগেছে তা জানা যায়নি। তবে দোকান মালিক আব্দুল হাছিব আমাদের কাছে অভিযোগ করেছেন শত্রুতার জের ধরে কেউ তাঁর দোকানে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত চারটি পরিবারকে পৌরসভার পক্ষ ৪০ কেজি চাল ও ৮ হাজার টাকা দিয়েছি।
বড়লেখা ফায়ার স্টেশনের অফিসার অনুপ কুমার সিংহ বলেন, অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রত করেছি। তবে কিভাবে আগুন লেগেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামীম আল ইমরান বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর তালিকা চেয়েছি। তালিকা পেলেই তাদের সহায়তা করবো।