ঘরে থাকা নিশ্চিত করতে হবে

15

বাংলাদেশে নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার মাসপূর্তি হলো গতকাল। এই এক মাসে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪২৪। মৃত্যু হয়েছে ২৭ জনের। এ পর্যন্ত ৩৩ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। আশার কথা, কিছুটা বিলম্বে হলেও সরকার করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে এ ভাইরাস প্রতিরোধের যুদ্ধে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি নিয়মিত ব্রিফিং করছেন। দিচ্ছেন প্রয়োজনীয় নির্দেশনা। গত মঙ্গলবার সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের প্রশাসনিক কর্মকর্তা, স্বাস্থ্যকর্মী ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত ভিডিও কনফারেন্সেও তিনি করোনা প্রসঙ্গে আলোকপাত করেছেন। আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, চলতি মাসেই বাংলাদেশে করোনাভাইরাস বড় ধরনের ধাক্কা দিতে পারে। দিনে কত জন আক্রান্তকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার প্রয়োজন পড়তে পারে তার আনুমানিক ভিত্তি তৈরি করেছে। এ ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ছয় হাজার করোনায় আক্রান্ত রোগীকে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনার আওতায় চিকিৎসা দেওয়ার মতো সক্ষমতা তৈরির লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে সরকার।
করোনাভাইরাসের প্রভাবে সামাজিকভাবে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। দেশের অর্থনীতিতে একটা স্থবিরতা এসে গেছে। শুধু বাংলাদেশ নয়, করোনার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বিশ্বব্যাপী। উন্নত বিশ্ব এটা নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী এই সংকট উত্তরণের আহ্বান জানিয়েছেন। বলেছেন, এটা আমাদের নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। করোনাভাইরাস মোকাবেলায় নিয়োজিতদের জন্য স্বাস্থ্য বীমার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। পুরস্কৃত করারও ঘোষণা দিয়েছেন। করোনা নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনে বাইরে থেকে চিকিৎসক-নার্স আনার কথাও বলেছেন। সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির বাইরে যাঁরা আছেন এবং করোনা পরিস্থিতির কারণে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন, তাঁদের জন্য রেশনের ব্যবস্থা করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। দুর্ভোগের সময় কেউ অনিয়ম করলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ার করেছেন তিনি। একই সঙ্গে এই সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ করেছেন। এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক পাওয়া যায়নি। কাজেই আপাতত প্রতিরোধ ব্যবস্থার কোনো বিকল্প নেই। সংক্রমণ ঠেকাতে জনসমাবেশ এড়িয়ে ঘরে থাকতে হবে। ঘরে থাকা নিশ্চিত করতে সবার ঘরে খাবার পৌঁছে দেওয়ার কোনো বিকল্পও নেই।